ইন্ডাস্ট্রিতে একবার পরিচয় পেয়ে গেলে তারকাদের যতটা না কসরত করতে হয়, তাঁর থেকে বেশি মনে হয় শুরুর দিনে কাঠখড় পোড়াতে হয়। অন্তত, মিঠুন চক্রবর্তীর জীবনে ঠিক তাই।
অভিনেতা যখন বলিউডে পা রাখেন তাঁর নামের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিল B ক্যাটাগরি শব্দটি। কোনও নায়িকাই তাঁর সঙ্গে কাজ করতে চাইতেন না। মিঠুন আছে শুনলেই তারা বেরিয়ে যেতেন ছবি থেকে। অভিনেতা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, কত লড়াই করতে পারে মানুষ। নিজেকে ছোট স্টার হিসেবেই মনে হতো তাঁর।
অভিনেতা সাফ বলেন, নায়িকাদের আমি এমনও দেখেছি যে সিনেমা ঘোষণা হওয়ার পরেও তাঁরা বেরিয়ে গিয়েছেন। তখন বড় বড় সুপারস্টার যারা ছিলেন তারা নায়িকাদের বলে দিতেন, আমার সঙ্গে কাজ করলে আর অন্য নায়কদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন না। তাঁরা এই ভয়গুলো পেত।
আরও পড়ুন - Mithun Chakraborty: সামর্থ্য ছিল না মহাগুরুর? ‘স্পটবয়’ মিঠুনের জীবন পাল্টে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছিলেন রেখাই!
কিন্তু একজন! যার জন্য মিঠুনের নামের পেছন থেকে B ক্যাটাগরি শব্দটা সরে যায়। আজও তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ মিঠুন। কে সে? মহাগুরু বলেন, ব্রিজ সদানন্দ যখন জিনাত আমানের কাছে গেলেন তকদির ছবির জন্য। আমি সেই ছবিতে হিরো ছিলাম, এবং জিনাত এককথায় রাজি হয়ে যায়। সেই ছবি রিলিজ করার পর, আমি অনেক সাধুবাদ পাই। আমি তখন A ক্যাটাগরির অভিনেতা। তারপর, অনেকেই আমার সঙ্গে কাজ করতে চাইতেন।
উল্লেখ্য, বলিউডে একটা সময় স্ট্রাগল গেলেও ১৯৮২ সালে ডিস্কো ড্যান্সার রিলিজ করার পর তিনি আলাদা পরিচিতি পান বলিউডে। তারপর, দক্ষিণী ছবির পাশাপাশি বাংলা ছবিতেও তিনি অনেক ধরনের কাজ করেছেন। পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার।