অবশেষে এল সেই দিন। মিঠুন চক্রবর্তীর হাতে তুলে দেওয়া হল সিনে দুনিয়ার সর্বোচ্চ দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার। অভিনেতাকে দেখা গেল তাঁর চেনা স্টাইলেই। বিনোদন জগতের বড় তারকাদের সামনে পুরস্কার গ্রহণ করলেন তিনি।
নিয়ম মত, এই পুরস্কার তুলে দেন রাষ্ট্রপতি নিজেই। এবারও তাঁর অন্যথা হল না। সারাজীবন ভারতীয় সিনেমাকে নিজের দক্ষতার মাধ্যমে সমৃদ্ধ করেছেন তিনি। সেই অসামান্য অবদানের জন্যই তাঁকে দাদাসাহেব ফালকে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট আওয়ার্ডে পুরস্কৃত করা হল। আদ্যোপান্ত বাঙালি হয়েই গেলেন পুরস্কার নিতে।
ধুতি পাঞ্জাবি, মাথায় সবুজ রঙের টুপি...ঘোষণায় তখন বলা হচ্ছে, তিনি ড্যান্সিং সেনসেশন ভারতবর্ষের। এমন একজন আইকন যাকে বিগত ৫ দশক ধরে দেখা যাচ্ছে নানা ভাষার সিনেমায় কাজ করতে। তিনি পদ্মশ্রী এবং পদ্মভূষণ সম্মানে সম্মানিত। উপস্থিত সমস্ত তারকার সামনেই মিঠুনের এই জয় যেন ফের একবার বাংলার মানুষকে গৌরবান্বিত করল।
একজন অতীব সাধারণ ছেলের বিশ্বজয়ের গল্পের নামই বোধহয় হওয়া উচিত মিঠুন। কলকাতার একটা ছোট্ট অন্ধকার গলি থেকে মুম্বাই সেখান থেকে নিজেকে ভারতের ড্যান্স আইকন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা, মিঠুনের জীবন কাহিনী অনুপ্রেরণা জোগায় বেশিরভাগকে। পুরস্কার দেওয়ার সময় সকলকে দাঁড়িয়ে তাঁকে সম্মান জানানোর অনুরোধ করা হয়।
দর্শকাসনে তখন বসে, এ আর রহমান, মনিরত্নম, করণ জোহর, শর্মিলা ঠাকুর আরও অনেকে। সকলে উঠে দাঁড়িয়ে করতালি দিয়ে তাঁকে সম্মানিত করেন। উল্লেখ্য, যেদিন ঘোষণা হয় মিঠুন দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাচ্ছেন, সেদিন তিনি জানিয়েছিলেন, সেই ছেলেটা যে কলকাতার অন্ধকার গলি থেকে বেড়িয়ে মুম্বাইয়ে স্বপ্নপূরণ করতে গিয়েছিল, আজ এই সম্মান পাচ্ছেন যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না।
প্রসঙ্গত, আজ তাঁর নতুন ছবি শাস্ত্রী রিলিজ করেছে। এরপর, তাঁকে দেখা যাবে শ্রীমান শ্রীমতি ছবিতে। দেবের সঙ্গেও ফের আরেকটি ছবিতে কাজ করতে চলেছেন তিনি।