/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/31/mixcollage-31-aug-2025-10-02-am-1821-2025-08-31-18-50-31.jpg)
বাবাকে নিয়ে যা বললেন তিনি...
অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে মিঠুন চক্রবর্তী নিজেকে ভারতীয় চলচ্চিত্রের এক অপ্রতিদ্বন্দ্বী নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তবে তাঁর দুই পুত্র – মিমো চক্রবর্তী এবং নমশি চক্রবর্তী, তাঁরা এখনও নিজেদের জায়গা খুঁজে চলেছেন। শিগগিরই দর্শক প্রথমবারের মতো মিঠুন ও ছোট ছেলে নমশিকে একসঙ্গে দেখতে পাবেন বিবেক অগ্নিহোত্রীর রাজনৈতিক ড্রামা দ্য বেঙ্গল ফাইলস-এ।
এক সাক্ষাৎকারে নমশি জানান- "আমি শুধু মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলে নই, আমি যোগিতা বালিরও ছেলে। সাধারণত সবাই বাবাকে নিয়েই আলোচনা করে, কিন্তু আমার মা-ও একসময় জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন।" যোগিতা বালি ১৯৭১ সালে পারওয়ানা ছবির মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন। এবং ১৯৮৯ সালের আখরি বদলা- পর্যন্ত প্রায় দুই দশক চলচ্চিত্র জগতে সক্রিয় ছিলেন। কিশোর কুমারের সঙ্গে স্বল্প সময়ের বিবাহিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে তিনি ১৯৭৯ সালে মিঠুনকে বিয়ে করেন।
নমশি মনে করেন, স্টার কিডদের নিয়ে প্রত্যাশা থাকলেও তিনি নিজে চাপ নেন কেবল অভিনয়ে ভাল কাজ করার জন্য। তাঁর কথায়- "আমার বাবা প্রায় পাঁচ দশক ধরে এক কিংবদন্তি। তাঁর সঙ্গে কাউকে তুলনা করা যায় না। আমি শুধু নিজের দক্ষতার প্রমাণ দিতে চাই।"
তিনি আরও যোগ করেন যে, অনেক সময় মানুষ কেবল ‘তারকা-সন্তান’ তকমাটাই দেখে। তবে প্রতিভা থাকলে সেটাই আসল পরিচয় হয়ে ওঠে। উদাহরণ হিসেবে তিনি রণবীর কাপুর, আলিয়া ভাট বা অক্ষয় খান্নার নাম টেনে বলেন, তাঁদের আজ কেবল নিজের যোগ্যতাতেই মানুষ চেনে।
নমশির মতে, তাঁর যাত্রাপথ অন্যদের থেকে আলাদা। বলেন, "এ পর্যন্ত যে কাজগুলো করেছি, তা কেবল নিজের চেষ্টায়। কাউকে কখনও ফোন করিনি বা বাবার নাম ব্যবহার করিনি। আমি বরাবর স্বাধীনভাবে কাজ করতে চেয়েছি।"
তিনি জানান, মুম্বাই শহরে আসার আগে তিনি বেড়ে উঠেছেন তামিলনাড়ুতে। ১৯৯৪ সালে পরিবারের সঙ্গে মিঠুন উটিতে চলে গিয়েছিলেন, যখন তাঁর অনেক ছবি বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়। সেখানে মিঠুন হোটেল ব্যবসা শুরু করেন। নমশির শৈশব-কৈশোর কেটেছে মুম্বাই থেকে দূরে, আর এ কারণেই তাঁর অভিজ্ঞতা অন্য স্টার কিডদের মতো নয়। বলেন, "আমি ২০১৫ সালে মুম্বাই ফিরে আসি। এখানে আমার কোনও স্টার কিড বন্ধু ছিল না, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সম্পর্কও ছিল না। তাই শুরুটা একেবারেই নতুন করে করতে হয়েছিল।"
অভিনেতা হওয়ার ইচ্ছে তাঁর শৈশব থেকেই ছিল। প্ল্যান-বি রাখেননি কখনও। স্কুল জীবন থেকেই তিনি থিয়েটার, স্ট্যান্ড-আপ কমেডি এবং ইম্প্রোভে যুক্ত ছিলেন। তাঁর ভাষায়- "আমি সবসময়ই পারফর্মিং আর্টসের প্রতি ঝুঁকেছি। নিজেকে এক জায়গায় বেঁধে রাখতে চাইনি। অভিনেতা হওয়াই আমার একমাত্র স্বপ্ন ছিল।"