তিনি এখন আর শুধু টলিউড পরিচালক-প্রযোজক নন, এখন তাঁর অন্য আরেকটি পরিচয়ও রয়েছে। নতুন পরিচিতি। বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty)। অর্জুন সিংয়ের দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত করে ব্যারাকপুরের (Barrackpore) সিট দিদিকে উপহার দেবেন বলেছিলেন। কথা রেখেছেন। বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বিধায়ক হিসেবে শপথ নিলেন দিদির একনিষ্ঠ সৈনিক। শুরু হল রাজ চক্রবর্তীর জীবনের নয়া ইনিংস। বিধায়ক হিসেবে এখন যাঁর চিত্রনাট্যের নায়ক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর সেই অন্যরকম ছবির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের জন্য তাঁর পছন্দ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee)।
লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের নেপথ্যের মানুষটি এখন ব্যারাকপুরবাসীর সুখ-দুঃখে পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রত্যয়ী। নতুন পথ চলা শুরু করেই কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাঁর কেন্দ্রের মানুষদের যেন কোনওরকম অসুবিধেয় না পড়তে হয়, সেই জন্য ওয়ার্ডভিত্তিক পরিকাঠামো গড়ার পরিকল্পনাও রয়েছে তাঁর। আর শপথবাক্য পাঠ করার পরই ধন্যবাদ জানিয়েছেন মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
বৃহস্পতিবার বিধায়ক হিসাবে শপথ নেওয়ার পর রাজের মন্তব্য, "আমাদের চিত্রনাট্যের নায়ক হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর একজন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র, যাঁর কথা না বললেই নয়, তিনি হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দু'জনের অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্যই আমরা জিততে পেরেছি।"
বিরোধীপক্ষ বিজেপিকে নাম না করেই খলনায়ক সম্বোধন বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর। তাঁর মন্তব্য, "এক এক জায়গায় এক একজন ভিলেন ছিলেন। আমার কেন্দ্রেও ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয় আমাদেরই হয়েছে।" বিধায়ক-পরিচালকের এই অন্যরকম ছবির কাজ কেমন হয়? সেটাই এখন দেখার অপেক্ষায় ব্যারাকপুরবাসী।