পল্লবী দে’র পর এবার কলকাতার উঠতি মডেল-অভিনেত্রী বিদিশা দে মজুমদারের রহস্যমুত্যু। একইভাবেই ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ। গ্ল্যামারের হাতছানি। ফের ঝকঝকে, চাকচিক্য জীবনযাপনের আড়ালে লুকিয়ে থাকা অন্ধকার মনোজগতের উদাহরণ। বিদিশা আদতে উত্তর ২৪ পরগণার কাঁকিনাড়ার বাসিন্দা। মা-বাবা ও বোন সেখানেই থাকেন। মাসখানেক আগেই কাজের সূত্রে দমদমের নাগেরবাজার এলাকার রামগড় কলোনিতে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকা শুরু করেন, বলে খবর। গত সোমবারই কাঁকিনাড়ার বাড়ি থেকে ফ্ল্যাটে ফেরেন। আর তার দিন তিনেকের মাথাতেই মেয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার! কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছেন না বিদিশা দে মজুমদারের মা।
কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মডেল-অভিনেত্রীর মা। মডেলিং-অভিনয়ের পাশাপাশি ভাল ছবিও আঁকতে পারতেন বিদিশা। কাঁকিনাড়ার বাড়িজুড়ে তাঁর আঁকা ছবিতে সাজানো ঘর। এমনকী প্রাইজ, সার্টিফিকেটও রয়েছে সেই তালিকায়। প্রাণবন্ত, হাসিখুশি চেহারার অন্তরালে কি কোনও দুঃখ চেপে রেখেছিলেন বিদিশা? একটি অভিনয় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তিও হয়েছিলেন। কিন্তু চলতি মাস থেকেই সেখানে অনিয়মিত যাতায়াত। কী হয়েছিল বিদিশার? বন্ধুদের কথায়, অবসাদে ভুগছিলেন মডেল-অভিনেত্রী।
<আরও পড়ুন: আজও একা বসে ভূতের সিনেমা দেখি না, আউটডোরে গিয়েও ‘তেনাদের’ অস্তিত্ব টের পেয়েছি: শ্রাবন্তী>
নাগেরবাজারের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে, বিদিশার সুইসাইড নোট। সেখানে স্পষ্ট লেখা- “এই মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না। দুরারোগ্য রোগে ভুগছিলাম।” তবে বিদিশার মায়ের দাবি, মেয়ে এমন কাজ করতেই পারে না। এপ্রসঙ্গে এপিবি আনন্দকে মডেল-অভিনেত্রীর মা জানান, "বিদিশা খুবই সাদামাটা মেয়ে ছিল। কোনওদিন কারও সঙ্গে তাঁর গণ্ডগোলের কথা শোনা যায়নি। দিন কয়েক আগেও একটা প্রজেক্টের জন্য অডিশন দিয়ে এসেছিল। আমি একটু বেশি রাগারাগি করতাম বলে বেশিরভাগ কথা বাবার সঙ্গে শেয়ার করত।"
বৃহস্পতিবার ছোট মেয়েকে গানের স্কুলে নিতে যাওয়ার সময়ই বড় মেয়ে বিদিশার মৃত্যুসংবাদ পান তাঁর মা। কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না মেয়ের এমন অস্বাভাবিক মৃত্যু। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তিনি। কাঁকিনাড়ায় বিদিশার পাড়াতেও শোকের ছায়া। জ্বলজ্যান্ত একটা মেয়ে এমনভাবে চলে গেল কেউই মেনে নিতে পারছেন না মন থেকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন