/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/16/mohiniu-2025-09-16-17-35-31.jpg)
কে এই অভিনেত্রী?
মলয়ালম সিনেমার প্রিয় মুখ মোহিনী — যদিও তার শেষ ছবিটি প্রায় এক দশক আগে রিলিজ করেছিল। তবু মালয়ালম দর্শকদের মনে তিনি এখনও আগের মতই রয়ে গিয়েছেন। নাদোদি (১৯৯২), পরিণায়াম (১৯৯৪), সাইনিয়াম (১৯৯৪), ই পুজহায়ুম কাদান্নু (১৯৯৬), উল্লাসাপুঙ্গাত্তু (১৯৯৭), মায়াপোনম্যান (১৯৯৯), পট্টাভিষেকম (১৯৯৯), ভেশম (২০০৪) ও ইন্নাথে চিন্তা বিষয়ম (২০০৮)–এর মতো ছবিগুলোতে তার স্মরণীয় অভিনয় তাকে দক্ষিণ ভারতের বুকে জনপ্রিয় করে তোলে। হিন্দি সিনেমা ডান্সার-এ (১৯৯১) অক্ষয় কুমারের বিপরীতে দেখা গেলেও মূল গুণগুলো তিনি দক্ষিণী ছবিতেই প্রকাশ্যে এনেছেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মোহিনী ব্যক্তিগত জীবনের কষ্ট, হতাশা ও মানসিক রোগে ভোগার কথা খুলে বলেছিলেন। তিনি জানান, এক সময় তার জীবনে এমন সময় আসে, যে হতাশায় ভেঙে পড়ে তিনি মারাত্মক সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন। এমনকি আত্মহত্যারও চেষ্টা করেছেন তিনি। কিন্তু, একবার নয়, সাতবার। এই সময়ের অন্ধকারে তিনি এক জ্যোতিষের কাছে গিয়ে শুনেছিলেন যে কেউ তার ওপর অশুভ মন্ত্র প্রয়োগ করেছে। প্রথমে এটি নিয়ে তিনি উপহাস করলেও পরে পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান তিনি।
মাত্র ৬ বছরে সব শেষ! অকালে চলে গেলেন জনপ্রিয় উমর..
বেশ কিছু সম্ভাব্য কারণেই, আত্মঘাতী হওয়ার সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন বলে দাবি করেছেন তিনি। তিনি আরও দাবি করেন যে তার সমস্যাগুলোর পেছনে তার স্বামীর একটি আত্মীয়ের করা কালো জাদুর হাত রয়েছে।
এই গভীর সংকট থেকে উত্তরণের ক্রেডিট মোহিনী দিয়েছেন ধর্মীয় বিশ্বাসকে। ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম নিলেও ২০০৬ সালে তিনি খ্রিস্টান হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং যীশুর প্রতি বিশ্বাসই তাকে বাঁচিয়েছে- এমনটাই তিনি সাক্ষাৎকারে বলেছেন। তার ভাষায়, “যীশু আমাকে সত্যিই শক্তি দিয়েছিলেন।”
ক্যারিয়ারের দুই দশক ধরে মোহিনী অনেকে বড় তারকার সঙ্গে কাজ করেছেন। শিবাজি গণেশন, নন্দামুরি বালকৃষ্ণ, চিরঞ্জীবী, মোহনলাল, মামুটি, শিবরাজকুমার, বিজয়কান্ত তাঁদের মধ্যে অন্যতম। ব্যক্তিগত কষ্ট ও পেশাগত অর্জন—দুইই মিলিয়ে মোহিনীর জীবন এখনো দর্শক হৃদয়ে স্থান করে রেখেছে।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)

Follow Us