পঁচিশে বৈশাথ এমন একটা দিন, বাঙালি পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক না কেন, এই দিনটি উদযাপিত হবে রবি ঠাকুরের গানে, আবৃত্তিতে, নৃত্যে। বাংলার অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও তার ব্যতিক্রম নন। মনামী ঘোষ, পায়েল দে থেকে রুদ্রনীল ঘোষ, সুব্রত দত্ত, সকলেই তাঁদের নিজের মতো করে প্রণাম জানালেন কবিকে। তারই কয়েকটি দেখে নিতে পারেন এক ঝলকে।
সুদক্ষ অভিনেত্রী মনামী ঘোষ একজন প্রশিক্ষিত নৃত্যশিল্পীও। তাঁর সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডলগুলি যাঁরা অনুসরণ করেন তাঁরা জানেন ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্য থেকে বলিউড-- যে কোনও ফর্মেই অত্যন্ত স্বচ্ছন্দ এই অভিনেত্রী। কবিগুরুর জন্মদিনে তিনি শ্রদ্ধার্ঘ জানালেন অভিসার কবিতার নৃত্য পরিবেশনায়।
আরও পড়ুন: অনুমতি না নিয়েই সুর রবির কবিতায়! সিনেমায় রবীন্দ্রসঙ্গীত তাঁরই হাত ধরে
কবিতাটি আবৃত্তি করেছেন সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। মনামী তাঁর বাড়ির একটি অংশকেই ফুল ও প্রদীপ দিয়ে সাজিয়েছেন মঞ্চের মতো করেই। আর তাঁর নৃত্যাভিনয়ে জেগে উঠেছেন সন্ন্যাসী উপগুপ্ত ও বাসবদত্তা। দেখে নিতে পারেন ভিডিওটি নীচের লিঙ্কে ক্লিক করে--
অভিনেত্রী শ্রুতি দাস যেমন ভাল নৃত্যশিল্পী, তেমনই ভাল অপূর্ব তাঁর গানের গলা। পঁচিশে বৈশাখ সকালে রবি ঠাকুরের গান গেয়েই শ্রদ্ধার্ঘ জানালেন। রবীন্দ্রজয়ন্তীতে বাঙালি মেয়েরা যেভাবে সাজতে ভালবাসেন, তেমন করে নিজেকে সাজিয়েছেন অভিনেত্রী। শুনে নিতে পারেন গানটি নীচের লিঙ্কে ক্লিক করে--
অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ অসাধারণ স্কেচ ও ডুডল করেন তাঁর অবসর সময়ে। রবীন্দ্রজয়ন্তীতে তিনি তৈরি করেছেন ভারি সুন্দর একটি ভিডিও যেখানে রয়েছে একটি দারুণ গল্প। লকডাউনে কবিগুরুর মুখোমুখি অভিনেতা। স্কেচ ও ভাষ্যের যুগলবন্দিতে অসামান্য এই উপস্থাপনা। দেখে নিতে পারেন ভিডিওটি নীচের লিঙ্কে ক্লিক করে--
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার আবৃত্তি ছাড়া রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন অসম্পূর্ণ। জনপ্রিয় টেলি-নায়ক ঋতজিৎ চট্টোপাধ্যায় কবিগুরুকে স্মরণ করেছেন প্রিয় কবিতাপাঠে-- 'প্রেমের হাতে ধরা দেব, তাই রয়েছি বসে'। ভারি সুন্দর এই উপস্থাপনাটি দেখে নিতে পারেন নীচের লিঙ্কে ক্লিক করে--
অভিনেতা সুব্রত দত্তও শ্রদ্ধার্ঘ জানিয়েছেন কবিগুরুকে 'নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ' কবিতার আবৃত্তিতে। যে কয়েকটি কবিতা বাঙালির ঘরে ঘরে বহুলচর্চিত, তার মধ্যে অন্যতম এই কবিতা। শুনে নিতে পারেন আবৃত্তিটি নীচের লিঙ্কে ক্লিক করে--
পরিস্থিতি যেমনই হোক, রবীন্দ্রনাথ সব সময়েই তাঁর দর্শনের ছায়া দিয়ে ঘিরে থাকেন মানুষকে। তাই সুখে-দুঃখে-উদযাপনে বার বার মানুষ তাঁর কাছে আশ্রয় খোঁজেন। মানবসভ্যতার শেষ পর্যন্ত এমনটাই থাকবে।