বাংলাদেশের অন্দরে যে ধরণের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, সেকথা জানেন বেশিরভাগই। বিশেষ করে সেদেশে ভারত বিরোধিতা এবং হিন্দুদের প্রতি অত্যাচার দেখে চমকে উঠছে সাড়া বিশ্ব। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই ভারতের প্রতি তাঁদের ক্ষোভ-দ্বেষ ক্রমশ বাড়ছে। ভারতের পতাকা পা দিয়ে মাড়িয়ে বিতর্কের আগুন দাবানলে ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশ থেকেই।
ভারতের বুকেও আক্রোশ বাড়ছে। কিন্তু, এবার এদেশের মানুষদের নিয়ে এবং হাসিনাকে নিয়ে এক বিরাট রচনা লিখেছেন মুস্তাফা ফারুকী। তিনি আদতে একজজ পরিচালক। কিন্তু, বর্তমানে তিনি মুখ্য উপদেষ্টা। তাই সরকারের তরফে তিনি ভারতের উদ্দেশ্যে লিখলেন...
"হাসিনা অধ্যায় শেষ হয়ে গেছে এই বাস্তবতা মেনে নেওয়ার সময় এসেছে ভারতের। বাংলাদেশের মানুষ সেই অধ্যায় চিরতরে বন্ধ করে দিয়েছে। ভারতীয় বন্ধুদের বোঝা উচিত, গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত একজন খুনিকে আশ্রয় দেওয়া বাংলাদেশের জনগণের সেন্টিমেন্টে আঘাত এনেছে। ভারত সবচেয়ে বিচক্ষণ যে কাজটি করতে পারত তা হলো বাংলাদেশের সঙ্গে একটি নতুন সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা।"
অন্যদিকে, কিছু মাস আগেই দেখা গিয়েছিল, মুস্তাফা ফারুকীর স্ত্রী নুসরত ইম্রোজ তিশা তিনি মুজিব ছবিতে আরিফিন শুভর বিপরীতে বঙ্গবন্ধুর স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। সেই সময় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিশাকে দেখাও গিয়েছিল। তাহলে সেসব সখ্যতা আজ অতীত? ফারুকী আরও লিখছেন...
https://www.facebook.com/share/p/1B4EztK2WZ/
"আমরা আবারো বলতে চাই যে, আমরা সব শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক সংবাদ প্ল্যাটফর্মের সাংবাদিকদের আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই এবং বাস্তব পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করার অনুরোধ করছি। আমরা ইতিমধ্যেই বিবিসি, আল জাজিরা এবং অনেক স্বনামধন্য ফ্যাক্ট চেকারদের ভারতীয় মিডিয়া দ্বারা প্রচারিত অসংখ্য ভুয়া খবর খণ্ডন করতে দেখেছি। এটাও উল্লেখ করা দরকার- বিগত সরকারের তুলনায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্পর্কিত ঘটনার সংখ্যা আসলে কমেছে। আর যেসব ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে, তার বেশিরভাগেরই রাজনৈতিক রং রয়েছে।"
"ভারতীয় বন্ধুদের মনে রাখা দরকার, যে স্বৈরাচারীকে তারা আশ্রয় দিচ্ছে, তারা পরপর তিনটি নির্বাচনে ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে। তার সাঙ্গপাঙ্গদের মাধ্যমে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিয়েছে। ১৬ বছরে হাজার হাজার ভিন্নমতাবলম্বীকে হত্যা করেছে, যার মধ্যে দেড় হাজার ভিন্নমতাবলম্বীকে মাত্র এক জুলাইয়ে হত্যা করা হয়েছে। শত শত ভিন্নমতাবলম্বীকে অপহরণ করেছে যারা তাদের সন্তানদের কাছে আর ফিরে আসেনি। ভারত কেন আশা করে যে আমরা এখনও তাকে ভালবাসি যিনি এই সমস্ত অপরাধের জন্য বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন? আমাদের ভারতীয় বন্ধুরা কি আশা করে জার্মানরা হিটলারকে ভালোবাসবে?"