গত ফেব্রুয়ারি মাসেই প্রেমিক সূর্য নাম্বিয়ারের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন মৌনী রায়। স্বামী ব্যবসার কাজে দুবাইতে থাকলেও মুম্বইতে শুটে ব্যস্ত মৌনী। তাই কখনও আরব আমিরশাহী আবার কখনও বা মায়ানগরী, আবার কখনও শ্বশুরবাড়ি বেঙ্গালুরুতে ছুটতে হয় অভিনেত্রীকে। কিন্তু এত ঝক্কির মাঝে নিজের আসল বাড়ি কোচবিহারেই যাওয়া হয় না মৌনী রায়ের। তাই একপ্রকার আবেগের সুরেই ঝরঝরে বাংলায় 'ব্রহ্মাস্ত্র' অভিনেত্রী বললেন, "কোচবিহারকে ভীষণ মিস করি।"
Advertisment
বিয়ের পর প্রথমবার বাংলায় পা রাখলেন মৌনী রায়। বুধবার দুপুরে কলকাতায় বাইপাসের ধারে এক বিলাসবহুল পাঁচতারা হোটেলে প্রসাধনী দ্রব্যের বিজ্ঞাপনী দূত হিসেবে হাজির হয়েছিলেন মৌনী। পাশ্চাত্যের পোশাকে ঝরঝরে বাংলায় বললেন, "শুনতে খুব অবাক লাগলেও বাঙালি খাবারের মধ্যে আমার খুব সাধারণ পদ পছন্দ- খিচুড়ি আর লাবড়া।" শুধু তাই কি তাই? আমিষ খান না মৌনী। তাই 'মাছে-ভাতে বাঙালি' কথাটা যে একেবারেই তাঁর জন্য প্রযোজ্য নয়, তা সদর্পে বললেন।
মৌনীর কথায়, 'বাঙালি খাবার মানে আমার কাছে ডাল, আলু সেদ্ধ, ভাত। আর আমি সেটাই খাই।' দীর্ঘ কয়েক বছর বাংলার বাইরে থেকেও বাঙালিয়ানা ভোলেননি। তাই প্রথমেই ইংরেজিতে কথা বলার পর বললেন, "আজ একটু বাংলায় কথা বলি।" বিয়ের পর ৯ মাস কাটলেও বরকে নিয়ে নিজের পৈতৃকবাড়ি কোচবিহারে যেতে পারেননি মৌনী। তাই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে যখন প্রশ্ন গেল, জামাইকে নিয়ে কোচবিহারে কবে যাবেন? মৌনীর উত্তর, "এখন যাওয়ার প্ল্যান না থাকলেও ইচ্ছে আছে যাওয়ার। মা চলে আসেন কোচবিহার থেকে আমার কাছে মাঝেমধ্যে। এই তো কিছু দিন আগেই এসেছিলেন।"
তবে নিজের শহর কোচবিহারকে ভুলতে পারেননি অভিনেত্রী। মৌনীর কথায়, "কোচবিহারকে খুব বেশি মিস করি। আমার প্রাণের শহর। ওখানেই বড় হয়েছি। কোচবিহারের স্কুলেই পড়াশোনা করেছি। বাবার সঙ্গে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে সেখানে। আমার পরিবারের সদস্যরাও ওখানে থাকেন। কিন্তু অত যাওয়া হয় না। কারণ মা এখন আমার কাছে চলে আসেন। ৪-৫ মাস থেকে যান।"
প্রসঙ্গত, সূর্য নাম্বিয়ার সঙ্গে দক্ষিণী রীতিতে বিয়ে করলেও বাঙালি মতেও সাত পাকে ঘুরেছেন মৌনী রায়। বিয়ের পর বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠানে শাঁখা-পলাও পরেন। মৌনীর বিয়ের আগে তাঁর মা মুক্তি রায় কোচবিহার মদনমোহন বাড়িতে পুজো দিয়েই বিয়ের আয়োজন শুরু করেছিলেন।