বর্ষীয়ান অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর জামাইয়ের বিবাদ এবার আদালতে যেতে চলেছে। মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের জামাই ডিকি সিনহা জানিয়েছেন, সামনের মাসেই বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করতে চলেছেন তিনি। ডিসেম্বর মাসের ১৩ তারিখে মৃত্যু হয় মৌসুমির বড় মেয়ে পায়েল। তারপরেই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন ডিকি সিনহা। প্রয়াত মেয়ে পায়েলের স্বামী ছিলেন ডিকি।
সম্প্রতি মৌসুমীও জানিয়েছিলেন, পায়েলের শারীরিক অসুস্থতার বিষয়ে অবহেলা করা এবং চিকিৎসার বিল না মেটানোর কারণে তিনি পায়েলের শ্বশুর-শাশুড়ি এবং ডিকির বিরুদ্ধে আদালতে যেতে চলেছেন। এমনকী পায়েলের অসুস্থার সময়েও তাঁর সঙ্গে মেয়েকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না এই অভিযোগে বম্বে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন মৌসুমী।
আরও পড়ুন, বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার টেলিতারকা কুশল পাঞ্জাবির ঝুলন্ত দেহ
এখন ডিকি বলছেন, মৌসুমীর অভিযোগ মিথ্যে এবং ডিকি ও তাঁর পরিবারের সম্মানহানি করার জন্য অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করবেন তিনি। সংবাদসংস্থা আইএএনএসকে ডিকি বলেন, ''এতদিন চুপ করে ছিলাম কারণ আমার স্ত্রী পায়েলের চিকিৎসা ও দেখাশোনা থেকে নজর সরিয়ে এসব করতে চাইনি। ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেছি এবং ওনাকে শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষদের বার্তা পাঠিয়েছি, যাতে তারা ওর শেষকৃত্যে আসতে পারে।''
ডিকি আরও বলেন, ''সমস্ত রীতি শেষ করতে সময় লেগে গেল। ৪০দিন পর ত্রিবেনী গিয়ে গঙ্গায় পায়েলের অস্থি বিসর্জন করতে হবে। স্ত্রীর আত্মার শান্তি কামনায় এগুলো আমি অবশ্যই করব। ফিরে এসে জানুয়ারীতে মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব।''
আরও পড়ুন, কথা বলুন, কিন্তু হিংসার আশ্রয় নেবেন না, সিএএ প্রসঙ্গে অক্ষয়
দীর্ঘদিন ধরেই টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন পায়েল। চলছিল চিকিৎসাও। ২০১৮-য় এতটাই স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছিল যে কোমায় চলে গিয়েছিলেন মৌসুমী তনয়া। ডিকি সিনহা আগেও অভিযোগ করেছেন হাসপাতালেও পায়েলের সঙ্গে দেখা করতে আসেননি অভিনেত্রী। তবে তাঁর বাবা ও বোন আসতেন। চিকিৎসার বিল না মেটানোর সমস্ত অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন ডিকি।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে ব্যবসায়ী ডিকি সিনহার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন পায়েল। সোশাল মিডিয়ায় আলাপ ও বন্ধুত্বের পর বিয়ের সম্পর্কে এগিয়েছিলেন দুজনে। বিয়ের পর থেকেই মৌসুমীর সঙ্গে ডিকির ঝামেলা লেগে ছিল।