ছবি- অ্যাডভেঞ্চারস অফ জোজো
পরিচালক- রাজ চক্রবর্তী
অভিনয়ে- যশোজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, সামিউল, পদ্মনাভ দাশগুপ্ত, রুদ্রনীল ঘোষ
রেটিং- ২.৫/৫
বড়দিনে ছোটদের ছবি উপহার দেবেন এমনটাই কথা দিয়েছিলেন রাজ চক্রবর্তী। রাখলেনও। তার তৈরি অ্যাডভেঞ্চারস অফ জোজো মনে ধরবে ছোটদের। বরপাহাড়ির জঙ্গলে জোজোর সঙ্গে ঘুরতে চলে যাবে আপনারও মন। বাঙালির ঘুরতে যাওয়া মনকেই একটু বেশি উসকে দিয়েছেন রাজ। অরুণাচলের গহন অরণ্যে অ্যাডভেঞ্চার করতে কার না মন চাইবে। সঙ্গে যদি বেআইনি পশুশিকারিদের ধরিয়ে দিতে পারার থ্রিল থাকে তাহলে তো কথাই নেই।
আগেই চাঁদের পাহাড় দেখে নেওয়ার কারণে একটা আশঙ্কা মনে তৈরি হয়েছিল, তবে তা প্রায় নস্যাৎ করেছেন রাজ চক্রবর্তী। ছোটদের ছবি ছোটদের মত করেই বানিয়েছেন তিনি। ইকোসিস্টেমের ফর্মুলায় অঙ্কের হিসেবটা ভালই মিলিয়েছেন রাজ। জোজো ছুটিতে বেড়াতে যায়, কিন্তু তার দাদারা অর্থাৎ বুবুন ও তুতুন সারাক্ষণ পড়াশোনা করে। এদিকে জোজো অঙ্কে গোল্লা পায়। অগত্যা একাই জঙ্গলে যায়, সেখানে আলাপ হয় সামিউলের সঙ্গে। এরপরেই আসল রহস্যের খোঁজ শুরু। চেঙ্গিসকে মেরে তার চামড়া বিক্রির ফন্দি এঁটেছে পোচার। তাদের হাত থেকে বন্যপ্রাণীদের রক্ষা করতেই দুই বন্ধু হয়ে ওঠে পশু পাখিদের অফিসার। কিন্তু শেষরক্ষা কি হবে?
আরও পড়ুন, বেপরোয়া ইচ্ছা, অদম্য জেদ ও মিষ্টি প্রেমে তৈরি ‘রসগোল্লা’
ছবির জন্য জায়গাটা খাসা খুঁজেছেন পরিচালক। প্রথম ছবিতেও বেশ ভালই কাজ করল ছোট্ট যশজিৎ। সামিউলের সহজ পাঠের গপ্পোর- ইমেজ ছেড়ে আসতে সময় লেগেছে। আবার বাজে লোকের চরিত্রে এক ইঞ্চিও জায়গা ছাড়েননি রুদ্রনীল। অনবদ্য পদ্মনাভ দাশগুপ্তও। কিন্তু সবটা তো ক্যামেরার কারিগরি আর লোকেশন দিয়ে হয়না। ছবির বিজিএম ও সঙ্গীত বেশ দুর্বল। ভিএফএক্সও জমল না ঠিক। তাহলে আর ছবিটার থাকল কি? ছোটদের মুখে বেমানান সংলাপের ভিড় গল্পটার খামতিও প্রকাশ্যে আনে। তবে রাজের দর্শক টার্গেট সম্পূর্ণ হবে। ছোটদের জন্য স্ট্রেট ব্যাটটাই জমিয়ে খেলেছেন তিনি।