ছবি: ক্রিসক্রস
পরিচালক: বিরসা দাশগুপ্ত
অভিনয়: জয়া আহসান, সোহিনী সরকার, প্রিয়ঙ্কা সরকার, মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহান
রেটিং: ২/৫
পাঁচটা মেয়ের জীবনের উত্থান পতনের গল্প 'ক্রিসক্রস'। ইরা (মিমি চক্রবর্তী), সুজি (প্রিয়াঙ্কা সরকার), মিস সেন (নুসরাত জাহান), রূপা (সোহিনি সরকার), মেহের (জয়া আহসান) কে নিয়ে উইমেনস এমপাওয়ারমেন্টের স্বপ্ন বুনেছেন পরিচালক বিরসা দাশগুপ্ত। আর প্রত্যেকের জীবন বাঁধা একটি শব্দে, 'ক্রাইসিস'।
'ক্রিসক্রস' ছবির শুরুটা হয়েছিল বেশ ভালই। একটা স্ট্রিট ব্যান্ডকে দিয়ে। এদিকে মেহের, ইরা, রূপা, সুজি এবং মিস সেন, প্রত্যেকের জীবনের সমস্যা এক এক ধরনের। মিস সেন সাফল্যের শিখরে দাঁড়িয়েও নিঃসঙ্গ, আর মেহের চায় অভিনয়টাকেই কেরিয়ার করতে তাই আপোষে রাজি নয়। এদিকে ঘর ভাড়ার টাকা জুটছে না। সুজিরও সমস্যাটা কিছুটা একই। দুদিনের মধ্যে স্কুলের ফিজ জমা না করতে পারলে বিপদ। তার জন্য হন্যে হয়ে একটা কাজের খোঁজে ঘুরছে সে। আর ছাপোষা সাধারণ ঘরের বউ রূপা, মা হতে না পারা নিয়ে এই যুগেও শাশুড়ির গঞ্জনা তাকেই শুনতে হয়। কিন্তু কাশতে কাশতে মুখ দিয়ে রক্ত ওঠাটা কারোর নজরে পড়ে না। আর এদিকে ইরার এক এক দিন, এমনকি রাতও কেটে যায় স্টোরি খুঁজতে খুঁজতে, দিনের শেষে সে একজন ফোটো জারনালিস্ট কিনা! প্রেম আর কাজের মধ্যে প্রায়োরিটি ঠিক করতে হিমশিম। এরপর কি হয়, সেটাই 'ক্রিসক্রস'-এর কাহিনি।
আরও পড়ুন, Uronchondi Review: উড়নচণ্ডীরা চিরকালই বাঁধনহীন
তবে পাঁচটা গল্প পাশাপাশি চালাতে গিয়ে 'ক্রিসক্রসের' খেলাটা শেষ করতে পারলেন না বিরসা। কোথায় যেন শেষে এসে সবটা গুলিয়ে ফেললেন। এত সমস্যার মাঝে থেকেও শেষটা বড্ড অতিনাটকীয়। হ্যাপি এন্ডিংয়ের আশায় রগচটা মিস সেনকে এক লহমায় নমনীয় করাটা যেমন চোখে লেগেছে তেমনি অবাস্তব ঠেকেছে জীবন শেষ করে দেওয়ার ভাবনায় ঝাঁপ দিতে যাওয়া রূপার নিমেষে পার্টি মুড অন।
অভিনয়ে হতাশ করেছেন জয়া আহসান, নুসরত। প্রিয়াঙ্কাও ঠিকঠাক। তবে মিমি চক্রবর্তীর স্ক্রিন প্রেসেনস ভাল। 'ত্রিসক্রস' নিয়ে এককথায় বলতে হয়, বিরসা দাশগুপ্তর আগের ছবিগুলোর তুলনায় এই ছবি গোছানো। তবে বাস্তবতা এবং চিত্রনাট্যের নিরিখে পরিচালক আরও পরিশীলিত হবেন, এই আশা পূরণ হলো না।