লগ্ন অনুযায়ী, দুপুর ৩.৩০-এ শুরু হয়েছে রণবীর-আলিয়ার বিয়ের অনুষ্ঠান। ‘বাস্তু’তে বসেছে বিবাহ আসর। কড়া নিরাপত্তা। প্রায় ২০০ বাউন্সার ঘুরছে বাংলোর ইতি-উতি। নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার মধ্য দিয়েই সাত পাকে বাধা পড়লেন রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাট। বছর চারেক প্রেমের পর বৃহস্পতিবার শেষমেশ একে-অপরের গলায় বরমাল্য দান করে 'মিস্টার অ্যান্ড মিসেস কাপুর' হলেন রণবীর-আলিয়া। গাঁটছড়া বাঁধলেন করণ জোহর। মণ্ডপে প্রয়াত ঋষি কাপুরের ছবি। তার সামনে দাঁড়িয়েই নবদম্পতি নতুন পথচলার শপথ নিলেন।
Advertisment
অতিথিদের ক্যামেরা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা। সন্ধে সাতটায় নবদম্পতি নিজেরাই পাপ্পারাজিদের ক্যামেরার সামনে ধরা দেবেন বলে জানিয়েছেন। তবে সূত্রের খবর, মণ্ডপে অতিথিদের গায়ত্রী মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়েই অগ্নি সাক্ষী রেখে সাত পাক ঘুরলেন রণবীর-আলিয়া। প্রয়াত ঋষির কথা মনে করে, আবেগে ভাসলেন মা নীতু কাপুর। শুভেচ্ছার বন্যা। নবদম্পতিকে ঘিরে রসিকতা-ঠাট্টায় মজেছেন অতিথিরা।
তবে আজকের দিনে ভাই ঋষিকে খুব মিস করছেন রণধীর কাপুর। পাত্রের জেঠু জানালেন, "আজকে আমাদের পরিবারের একটা বড় দিন। চিন্টুকে রোজ-ই মিস করি। তবে আজকে একটু বেশি-ই মিস করছি। কিন্তু কী আর করা যাবে, জীবন তো তার নিয়মেই চলতে থাকে। তবে রণবীর-আলিয়া নতুন জীবন শুরু করছে দেখে ভাল লাগছে। চিন্টু এই দিনটা দেখে যেতে পারলে ভাল হত।" অন্যদিকে হুইলচেয়ারে বসে বিয়ে দেখছিলেন কনের দাদু। তিনিও রণবীর-আলিয়াকে সাত পাক ঘুরতে দেখে আনন্দে কেঁদেই ফেললেন।
ঘরোয়াভাবে বিয়ের আয়োজন তাই অতিথি তালিকাও ছোট। পাত্র পক্ষের তরফে উপস্থিত রয়েছেন নীতু, রিধিমা, রণধীর-ববিতা, করিশ্মা এবং সইফ-করিনারা। অন্যদিকে, শ্বশুরমশাই মহেশ ভাটও ততোধিক উচ্ছ্বসিত। কনেপক্ষের তরফে সাক্ষী মা সোনি রাজদান, দিদি সাহিন ও পূজা ভাট, সৎ-ভাই রাহুল ভাট। বন্ধু করণ জোহর, অয়ন মুখোপাধ্যায়রাও রয়েছেন বিয়ের আসরে। আম্বানি পরিবারের সদস্যরাও এসেছেন নবদম্পতি রণবীর-আলিয়াকে আশীর্বাদ দিতে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন