হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম কাজ। তাও আবার রানি মুখোপাধ্যায়ের বিপরীতে। এযাবৎকাল বাংলা থেকে মুম্বইয়ে গিয়ে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় ও যিশু সেনগুপ্তই নজর কাড়ছিলেন। তবে এবার সেই তালিকায় চলে এল অনির্বাণ ভট্টাচার্যের নামও। 'মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে' ছবিতে অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন অভিনেতা। বক্সঅফিসেও মোটের ওপর নজরকাড়া সাফল্য। ২২ দিনে ২২ কোটি আয় করে ফেলেছে। এবার সাকসেস পার্টির নেপথ্যের গল্প শোনালেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য।
বক্সঅফিসে 'মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে'র সাফল্য উদযাপন করতে কলকাতা থেকে মুম্বই উড়ে গিয়েছেন অভিনেতা। শুটিংয়ের সময়ে টিমের সকলের মুখ চেনা হলেও ভাল করে আলাপ সারা হয়নি অনির্বাণের। সেই সুযোগ করে দিলেন রানি মুখোপাধ্যায়। তিনিও বাঙালি। তাই কলকাতার মানুষ অনির্বাণকে স্বাগত জানাতে ভোলেননি অভিনেত্রী। অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে ডেকে সকলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন জিম সার্ভও।
আর রানির এমন আচরণেই মুগ্ধ অনির্বাণ। বললেন, "সাধারণত খুব একটা উচ্ছ্বসিত আমি হই না। তবে 'মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে'র সাকসেস পার্টি নিয়ে খানিক বেশিই উৎসুক ছিলাম। পার্টিতে রানির আচরণ আমাকে মুগ্ধ করেছে। ও আমাকে অমিত ত্রিবেদির সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেন। কেক কাটার আগে একটা লাজুক হাসি হেসে আমাকে ডেকে বলেন- 'এসো অনির্বাণ, আমরা কেক কাটব।' রানি আমাকে জানিয়েছেন, মুম্বই ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই আমার কাজের প্রশংসা করেছেন। সেটা জেনে আমারও ভাল লেগেছে। আর এই প্রথমবার টিমের সকলের সঙ্গে একসঙ্গে মুখোমুখি হলাম।"
<আরও পড়ুন: ‘JU-র অনুষ্ঠান স্রেফ অন্যায়, অসভ্যতা!’ বলেই মারাত্মক ট্রোলিংয়ের শিকার শ্রীজাত>
আপ্লুত অনির্বাণ ভট্টাচার্য এও জানিয়েছেন যে, "প্রথম হিন্দি ছবিতেই এতটা নজরে এসেছি, পরিচিতি পাচ্ছি, এর থেকে বেশি আর কী-ই বা চাইব। আমিও নিজেও আমার কাজ নিয়ে খুশি।" পাশাপাশি এও জানান যে, এরপর কোনও হিন্দি ছবির প্রস্তাব এলে চরিত্র নির্বাচন করে তারপরই সবুজ সংকেত দেবেন। প্রসঙ্গত, 'মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে' বানাতে খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ কোটি। আর এই কদিনেই প্রযোজকের ঘরে টাকা তুলতে সক্ষম রানি-অনির্বাণের সিনেমা।