বাড়ির বউদের আলাদা কোনও পরিচিতি আছে কি? বিবাহিত মেয়েদের নিজের বাড়ির কথা জিজ্ঞেস করলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এখনও উত্তর মেলে শশুড় বাড়িই তো নিজের বাড়ি। সেখানেও নিজেদের নামের পরিবর্তে পরিচিতি মেলে অমুকের বউ তমুকের বৌমা হিসাবে। আপাত দৃষ্টিতে এই পরিচয় সংকটের বিষয়টি আমল দেওয়ার মতো মনে না হলেও সমস্যাটা আদতে গভীর। আর এখান থেকে শুরু মুখার্জিদার বউয়ের জার্নি।
ছবির পোস্টারও সেই কথাই বলছে। দেখা যাচ্ছে শাশুড়ি অনসূয়া মজুমদার এবং বউমা কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। একে অপরের সম্পর্কে ভাল-মন্দ মিশিয়ে পাঁচটি শব্দও বলতে পারছেন না। অলক্ষ্মী, অকম্মা, ন্যাকা, মুখরা, বাঙাল- এই হল বৌমা সম্পর্কে পাঁচটি খারাপ কথা। এতো শাশুড়ি তাও বলে ফেললেন এদিকে বৌমা শাশুড়িকে নিয়ে একটা ভাল শব্দও লিখতে পারলেন না।
আধুনিক পরিবারের সমস্যা-জটিলতা কাটিয়ে এখনও নিজের মানুষগুলোর প্রতি যত্নশীল অদিতি। দশ বছরের বিবাহিত জীবনে একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে অদিতির। এদিকে চিরাচরিত শাশুড়ি-বৌমার দ্বন্ধকে দূরে রেখে আত্মিক যোগাযোগও শাশুড়ির সঙ্গে। এরকমই একটা পরিবারের প্রেক্ষাপটে চলবে কাহিনি। পরিচালক পৃথা চক্রবর্তী। চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন সম্রাজ্ঞী বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন, ‘অভিযাত্রিক’ সত্যজিৎ রায়ের ছবির রিমেক নয়: মধুর ভান্ডারকর
শিবপ্রসাদ-নন্দিতা যে বরাবরই ইন্ডাস্ট্রিতে নতুনদের আনার চেষ্টা করেছেন তার প্রমাণ মিলেছে বহুবার। ছবিতে কনীনিকা ও অনুসূয়া মজুমদার ছাড়াও রয়েছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, অপরাজিতা আঢ্য, বাদশা মৈত্র, বিশ্বনাথ বসু। নারীদের গল্প নিয়ে নারীদিবসে মুক্তি পাবে ‘মুখার্জি দার বউ’।