আধুনিক পরিবারের সমস্যা-জটিলতা কাটিয়ে এখনও নিজের মানুষগুলোর প্রতি যত্নশীল অদিতি। দশ বছরের বিবাহিত জীবনে একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে অদিতির। এদিকে চিরাচরিত শাশুড়ি-বৌমার দ্বন্ধকে দূরে রেখে আত্মিক যোগাযোগও শাশুড়ির সঙ্গে। এরকমই একটা পরিবারের প্রেক্ষাপটে চলবে কাহিনি। নতুন গল্প বেঁধেছে উইন্ডোজ প্রোডাকশন।
বেলাশুরুর শুটিং চলছে জোরকদমে, তার মধ্যেই আরও একটা ছবি তৈরির কথা ভেবে ফেলেছেন নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। এই ছবির পরিচালক তারা নন। কন্ঠ, বেলাশুরু তারপর আরও একটা ছবি করছেন ঠিকই তবে এই ছবির পরিচালক পৃথা চক্রবর্তী। নারীদের গল্প নিয়ে নারীদিবসে মুক্তি পাবে 'মুখার্জি দার বউ'। এটাই ডেবিউ ছবি পৃথার। তিনি বললেন, পুরো ছবিটাই বিয়ের পর মেয়েদের ক্ষমতায়নের জার্নি নিয়ে। মধ্যবিত্ত পরিবারে মুখার্জি দা দোলাচলে থাকে, বেশিরভাগটাই ব্যালেন্স করে উঠতে পারেননা। তবে এটা এই দুজন নারীকে নিয়ে ছবিটা এগোবে। ছবিতে ঋতুপর্নার চরিত্রটা ক্যাটালিস্টের, এই দুজন নারীদের নিজেদের চিনতে শেখায়।"
শিবপ্রসাদ-নন্দিতা যে বরাবরই ইন্ডাস্ট্রিতে নতুনদের আনার চেষ্টা করেছেন তার প্রমাণ মিলেছে বহুবার। 'বাবারা থাকে নিঃশব্দে'-পৃথার এই ছবি দেখার পরই শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় তার সঙ্গে ছবি করার সিন্ধান্ত নেয়। ''কিন্তু নন্দিতা রায়ের সাহায্য ছাড়া এটা তৈরির পথেই যেত না। তিনি স্ক্রিন প্লে লেখার ক্ষেত্রে যেভাবে আমাদের চালনা করেছেন সেটা উল্লেখ করতেই হবে'', বলছেন পৃথা।
ছবিতে মুখার্জি দার বউয়ের চরিত্রে কনিনীকা বন্দ্যোপাধ্যায়, শাশুড়ির ভূমিকায় দেখা যাবে অনসূয়া মজুমদারকে। গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন ঋতুপর্না সেনগুপ্ত। ছবির স্ক্রিন প্লে লিখেছেন সম্রাজ্ঞী বন্দ্যোপাধ্যায় ও পৃথা। চিত্রনাট্য ও সংলাপের দায়িত্বও রয়েছে সম্রাজ্ঞীরই কাঁধে। মিউজিক করছেন ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। ১৮ নভেম্বর থেকে শুটিং শুরু হয়েছে এই ছবির। আগামী বছর ৮ মার্চ নারীদিবসে মুক্তি পাবে মুর্খাজি দার বউ।