Saif Ali Khan Case Latest Update: ১৫ জানুয়ারি বুধবার মধ্যরাতে পতৌদি প্যালেসে ঢুকে এক দুষ্কৃতী ছুরি নিয়ে সইফ আলি খানের উপর হামলা চালায়। হামলাকারীকে খুঁজতে চিরুনি তল্লাশি চালায় মুম্বই পুলিশ ও ক্রাইম ব্রাঞ্চ। অবশেষে গ্রেফতার সইফ আলি খানের হামলাকারী। মুম্বই পুলিশের ডিসিপি পদমর্যাদার এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, থানে এলাকা থেকে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘুমন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় তাকে।
জঙ্গলের মধ্যে জড়ো করা শুকনো ঘাসের মধ্যে শুয়ে ছিল ওই ব্যক্তি। সইফকে ছুরিকাঘাতের পর বান্দ্রা থেকে ট্রেন ধরে দাদর যায়। সেখান থেকে ওরলি কোলিওয়াড়ায় নিজের বাড়িতে গা ঢাকা দেয়। টিভিতে নিজের ছবি দেখে ভয় পেয়ে থানে-তে যায়। এর মাঝেই বান্দ্রা পুলিশের হাতে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
যে ছুরি দিয়ে সইফকে আঘাত করা হয়েছিল তার বাকি অংশ উদ্ধার হল সইফিনার বাচ্চাদের ঘর থেকে। সেটিকে ইতিমধ্যেই ফরেন্সিকের জন্য পাঠানো হয়েছে। কার হাতের ছাপ ছুরিতে রয়েছে সেটি পরীক্ষা করতেই ছুরিটিকে ফরেন্সিকে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, হামলাকারী সইফের পিঠে ছুরি গেঁথে দিয়েছিল। শরীর দিয়ে যখন অঝোরে রক্ত ঝরছে সেই অবস্থাতেই হাসপাতালে পৌঁছেছেন সইফ আলি খান। শিরদাঁড়ায় গেঁথে যাওয়া ভাঙা ছুরির অংশ প্রাণনাশের কারণ হতে পারত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বরাতজোরে রক্ষা পেয়েছেন পতৌদি নবাব। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল সইফের শরীর থেকে বের করে আনা রক্তাক্ত ছুরির ছবি। অস্ত্রোপচারের পর বের করে আনা ছুরি একটি পাত্রে রাখা ছিল। বুধবার রাতে সইফকে ছুরিকাঘাতের পর সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রায় পাঁচ ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের পর শরীরে গেঁথে থাকা ছুরি বের করা সম্ভব হয়। শিরদাঁড়ায় আড়াই ইঞ্চি ছুঁড়ি গেঁথে থাকা নিছকই সাধারণ ব্যাপার নয়।
লীলাবতী হাসপাতালের চিফ অপারেটিং অফিসার নীরজ উত্তামানি সইফের আঘাত নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, অভিনেতার শিরদাঁড়ায় দুই মিলি মিটার পর্যন্ত ছুরিটি গেঁথে গিয়েছিল। এতে প্রাণনাশের আশঙ্কাও ছিল। শরীরে মোট ছটি ক্ষত ছিল। যার মধ্যে শিরদাঁড়ার কাছে দুটি ক্ষত অত্যন্ত গভীর। অস্ত্রোপচারের পর সেটি বের করা হয়েছে।