এদিন মুম্বই পুলিশ বলেন, তনুশ্রী দত্ত যে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছিলেন, সেই এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্তে কোনও প্রমাণ মেলেনি নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে। গত বছর অক্টোবরে নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছিল তনুশ্রী দত্ত, সেখান থেকেই মিটুর ঝড় ওঠে বলিউডে। পুলিশ স্থানীয় আদালতকে জানিয়েছে, ''তনুশ্রী দত্তা শ্লীলতাহানির মামলায় নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে কোনও তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।''
কোর্টের বক্তব্যর পর মুম্বাই পুলিশের প্রতিক্রিয়া শুনে তনুশ্রী দত্তের অ্যাডভোকেট বলেন, " নানা পাটেকরকে বাঁচানোর জন্য পুলিশ অবহেলিত ভাবেই কাজ করে গেছে। এখনও অনেক সাক্ষীর বিবৃতি রেকর্ড করা হয়নি। এমনকি সায়নি শেট্টির বক্তব্যও পুরোপুরি রেকর্ড করা হয়নি। পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করেনি, তাই আমরা এই রিপোর্টের বিরোধিতা করে বম্বে হাইকোর্টে একটি লিখিত আবেদন জানাবো।
অভিনেতা নানা পাটেকর এবং আরও তিনজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করছিলেন প্রাক্তন অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত। মুম্বইয়ের ওশিওয়ারা পুলিশ স্টেশন এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। নানা পাটেকর, কোরিওগ্রাফার গণেশ আচার্য্য, পরিচালক রাকেশ সারাং ও প্রযোজক সামি সিদ্দিকির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারায় শ্লীলতাহানি ও অশ্লীলতার অভিযোগ দায়ের হয়েছিল।
লিখিত অভিযোগ জানানোর একদিন পরে পুলিশ স্টেশনেও গিয়েছিলেন তনুশ্রী, এবং বলেছিলেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার বিরুদ্ধে স্টুডিয়োর বাইরে ২০০৮ সালে তাঁর গাড়ির ওপর হামলা চালানো ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করতে চান।
দু পাতার লিখিত অভিযোগে নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছিলেন তনুশ্রী। ২০০৮ সালেই নানা পাটেকরের হাতে ‘হর্ণ ওকে প্লিজ’ ছবির সেটে হেনস্থা হয়েছিলেন তিনি। নানার বিরুদ্ধে তনুশ্রীর অভিযোগ, নাচ শেখানোর অছিলায় তাঁর শরীরে বিভিন্ন জায়গায় “অনাবশ্যক এবং অশ্লীলভাবে” হাত দিচ্ছিলেন অভিনেতা।