কিংবদন্তী সুরকার খৈয়াম প্রয়াত। 'কভি কভি', 'উমরাও জান'-এর মতো বিখ্যাত ছবির সঙ্গীত পরিচালক মহম্মদ জাহুর খৈয়াম হাসমি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। সোমবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে জীবনাবসান হয় তাঁর। খৈয়াম স্ট্রাস্টের মুখপাত্র প্রীতম শর্মা বলেন, ''বর্ষীয়ান সঙ্গীত পরিচালক খৈয়াম সাহাব আর আমাদের মধ্যে নেই। জুহুর সুজয় হাসপাতালে ৯.৩০ নাগাদ প্রয়াত হলেন তিনি। শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিগত কিছুদিন হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন তিনি।''
রাতেই গজল সম্রাট তলত আজিজও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ডট কমকে জানিয়েছেন, ''হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৯.৩০ নাগাদ জীবনাবসান হয় খৈয়াম সাহাবের। ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে প্রায় ২১ দিন সাহসের সঙ্গে লড়াই করলেন তিনি। এখন আমি হাসপাতালেই রয়েছি।'' নিজের বাড়িতে অসুস্থ হওয়ার পর ২৮ জুলাই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এই বর্ষীয়ান সঙ্গীতশিল্পী।
বিখ্যাত এই শিল্পীর প্রয়াণের খবর পাওয়া মাত্রই শোকের ছায়া নেমেছে সঙ্গীত মহলে। সোশাল মিডিয়ায় শোকবার্তা জানাচ্ছেন ইন্ডাস্ট্রির মানুষেরা। টুইট করে শোক প্রকাশ করেছেন লতা মঙ্গেশকর।
মহম্মদ জাহুর খৈয়াম হাসমি হিন্দি চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গীত মায়েস্ট্রো। 'উমরাও জান' ও যশ চোপড়ার 'কভি কভি' ছবির সঙ্গীত পরিচালনার জন্য বিখ্যাত তিনি। নিজের সুরের জাদুতে চিরস্মরণীয় করেছেন 'বাজার' ছবির 'দিখায়ি দিয়ে ইয়্যু', 'নূরী' ছবির 'আজা রে', 'কভি কভি'র 'তেরে চহরে সে' এবং 'উমরাও জানে'র 'ইন আঁখো কি মস্তি'-র মতো গানগুলিকে।
১৯৬১ সালে শোলা অউর শবনম ছবি দিয়ে সঙ্গীতপরিচালনা শুরু করেন তিনি। উমরাও জান ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কারও পান খৈয়াম। কভি কভি ও উমরাও জান তাঁর ঝুলিতে এনে দিয়েছিল ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়র্ড। সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কারে ভূষিত হয় ২০০৭ সালে। এরপরে ২০১১ তে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মভূষণে সম্মানিত করে।