ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে প্রেম যখন সপ্তমে, তখন পরিবার থেকে বাধা পেয়েছিলেন হেমা মালিনী। সম্প্রতি এই কথা প্রকাশ্যে বলেছেন বলিউডের একদা ‘ড্রিম গার্ল।‘ দিন কয়েক আগে ইন্ডিয়ান আইডলের অতিথি বিচারক হয়ে এসেছিলেন প্রবীণ এই বলিউড অভিনেত্রী। তখনই তাঁর জীবনের বসন্ত এবং সুপারস্টার ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেন হেমা মালিনী। তিনি বলেন, ‘ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে যখন প্রেমের সম্পর্ক তুঙ্গে তখন তাঁর বাবা চেষ্টা করেছিলেন আটকাতে। কোনও ভাবেই তিনি যাতে ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে দেখা করতে না পারেন, সেই চেষ্টা করা হয়েছিল বাড়ি থেকে।‘
সেই রিয়ালিটি শোয়ে হেমা মালিনী বলেন, ‘শ্যুটিংয়ে আমার সঙ্গে মা এবং মাসি যেতেন। কিন্তু একটা গানের শ্যুটিংয়ে আমার সঙ্গে বাবা গিয়েছিলেন। উনি জানতেন আমি আর ধরমজি ভাল বন্ধু। তাও উনি উদ্বিগ্ন ছিলেন যাতে আমরা একান্তে সময় না কাটাতে পারি।‘ তিনি আরও বলেছেন, ‘একটা সময় ছিল যখন গাড়িতে উঠেই বাবা আমার পাশে বসে পড়তেন। কিন্তু ধরমজিও নাছোড়বান্দা ছিলেন। তিনি আবার বাবার পাশে বসতেন।‘
বিবাহিত ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে হেমা মালিনীর প্রেম কাহিনী বলিউডে সর্বজনবিদিত। বহুদিন প্রেমের পর ১৯৮০ সালে বিয়ে করেন এই দুই তারকা যুগল। তাঁর আগে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় ধর্মেন্দ্রর প্রথম পক্ষের স্ত্রী প্রকাশ কৌরের সঙ্গে। প্রথম পক্ষে দুই সন্তান সানি এবং ববি দেওল। আর দ্বিতীয় পক্ষে অর্থাৎ ধর্মেন্দ্র আর হেমা মালিনীর দুই কন্যা সন্তান।
এই দু’জনে একসঙ্গে একাধিক হিট ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন। শোলে, সীতা অউর গীতা, ড্রিম গার্ল, জুগনু, নয়া জমানার মতো ব্লকবাস্টার হিট ছবিতে একসঙ্গে জুটি বাঁধতে দেখা গিয়েছে এই তারকা দম্পতিকে।
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে হেমা মালিনী বলেছিলেন, ‘ধর্মেন্দ্রকে প্রথম দেখাতেই আমি ঠিক করেছিলাম একেই বিয়ে করব। এই পুরুষ আমার জীবনসঙ্গী হবে। আমি চেয়েছিলাম আমাদের সম্পর্ক যাতে অন্য কারও ক্ষতি না করে। আমরা বিয়ে করেছিলাম কিন্তু ধরমজিকে কখনও তাঁর প্রথম পক্ষের পরিবারের থেকে কেড়ে নিইনি। কোনওরকম বাধা তৈরি করিনি।‘