জিতু-নবনীতার সম্পর্ক নিয়ে চারিপাশে জোরালো চর্চা। তারকা দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদ যেন কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না অনুরাগীরা। কেউ কেউ তো জিতুকে বিঁধছেন ভয়ঙ্কর শব্দে। আবার কেউ কেউ জিতুর নতুন নায়িকা শ্রাবন্তীকে নিয়েও কটাক্ষ করছেন।
শ্রাবন্তীর সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন জিতু। একসঙ্গে অনেকগুলি ছবিতেই তাঁদের দেখা যাবে। বেশিরভাগের বক্তব্য একই, শ্রাবন্তীর সঙ্গেই নাকি সম্পর্কে জরিয়েছেন জিতু। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিনেতা! তবে, এই গুজবে মোটেই খুশি নন নবনীতা। অন্তত প্রাক্তন স্বানীর চরিত্র নিয়ে কিছুই শুনতে চান না তিনি। সকলের ভুল ভাঙতে নিজেই হাজির হলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আরও পড়ুন < ‘জীবনের গল্পই বোধহয় পাল্টে গেল..’, আশ্চর্যরকম পরিবর্তনের সাক্ষী স্নেহা! সঙ্গ দিলেন বাসবদত্তা… >
দুজনের সম্পর্কের মাঝে এসে পড়েননি কোনও তৃতীয় ব্যক্তি। অন্তত শ্রাবন্তীর সঙ্গে জিতুর কোনও অবৈধ সম্পর্ক নেই। তাই তো, তিনি লাইভে এসে বললেন… "আমি বিচ্ছেদের কথা শোনানোর পর থেকে অনেকেই জিতুকে নিয়ে নানা কথা বলছে। এমনকি প্রসঙ্গ উঠছে শ্রাবন্তী দি-কে নিয়েও। আমি খুব আশাহত হয়েছি এই ঘটনায়। আমার সঙ্গে ওর সম্পর্ক বেজায় ভাল। শুধু তাই নয়, লন্ডনে শুটিং এর ফাঁকে অনেকটা সময় একসঙ্গে কাটিয়েছি। খাওয়াদাওয়া করেছি, আড্ডা মেরেছি। এই ঘটনার সঙ্গে শ্রাবন্তীর কোনও সম্পর্ক নেই।"
আরও পড়ুন < ‘আমায় ঘেন্না করতে পারো, তবে…’, বিচ্ছেদ-বিতর্কের মাঝেই কড়া মন্তব্য জিতুর! >
নবনীতা সম্পর্কের ভাঙ্গাগড়ার ব্যখ্যা দিয়েই জানিয়েছিলেন, পরস্পরের সঙ্গে ভাল নেই তাঁর। শেষ তিন-চার মাস আলাদাই থাকছেন। আর যখন তাঁরা একসঙ্গে ভাল নেই তখন আর কিছুই মানে রাখে না। সাফ বললেন, "আমি কিন্তু জিতুর সঙ্গে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি অনেক চিন্তা ভাবনা করেই। আমরা শান্তির কথা ভেবেই এইকাজ করেছি। এতে কারওর জোরাজুরি-হস্তক্ষেপ নেই। আমরা কোনওদিন ভাবিও নি যে কেউ বললেই একসঙ্গে থেকে যাব। সবটাই মিটে যাবে, ঝুঁট-ঝামেলা লেগেই থাকে। আমি এবং জিতু দুজনে একসঙ্গে নিয়েছি এই সিদ্ধান্ত। জনে জনে এককথা বলা সম্ভব না, তাই এভাবেই বললাম।"