নতুন বছর মানেই নতুন করে অনেক কিছু পাওয়া। ছোটবেলায় যেমন নববর্ষ মানেই নতুন জামা, খাওয়াদাওয়া, তেমনই বড় হয়ে কিন্তু সেই সংজ্ঞা একেবারেই পাল্টে যায়। তবে তারকাদের ক্ষেত্রেও কি সেই একইরকম কিছু ঘটে? শুটিং, ব্যস্ততা কাটিয়ে তারা কিভাবে পালন করেন নতুন বছর?
Advertisment
এবছর গাঁটছড়া বেঁধেছেন অনেক তারকাই। বিয়ের পর প্রথমবার নববর্ষ পালন করবেন যারা, তাদের মধ্যে অন্যতম রূপসা চট্টোপাধ্যায়। ভালবাসার দিন অর্থাৎ ১৪ই ফেব্রুয়ারি বিয়ে করেন। এবছর নিশ্চই বিশেষ কিছু প্ল্যানিং রয়েছে তাঁর! কিভাবে কাটাবেন নববর্ষ, বা ছোটবেলায় কীভাবে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতেন তিনি। আউটডোর শুটিং, ভীষণ ব্যস্ততার মাঝেও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে নববর্ষের বিশেষ প্ল্যানিং বলতে বলতেই নস্টালজিয়ায় রূপসা।
অভিনেত্রী বললেন, "ছোটবেলায় আমার কাছে নববর্ষ মানে ছিল, নতুন জামা। এদিন দেদার হুল্লোড়, আমায় কেউ বকাবকি করবে না। আমি খুব দুরন্ত ছিলাম। মায়ের থেকে প্রচুর বকা খেতাম, কিন্তু এদিন কেউ কিছু বলত না আমায়। সন্ধেবেলায় বাড়িয়ে সবাই একসঙ্গে হতেন। তারপর বিভিন্ন দোকানে হালখাতা করতে যাওয়া। উফ! এটা যে আমার কাছে কি দারুন একটা বিষয় ছিল"।
নববর্ষে এক্কেবারে পাড়ার মেয়ে রূপসা। বড় হয়েছেন উত্তরপাড়ায়। তথাকথিত পাড়া কালচার, এই বিষয়টা সাংঘাতিক ভাবে উপভোগ করেছেন একটা সময়। বিভিন্ন দোকান থেকে বিভিন্ন প্যাকেট, মিষ্টি, যেন এক দারুণ ব্যাপার। স্মৃতি হাতড়েই বললেন, "এখন তো আমি দোকানে গিয়ে গিয়ে হালখাতা করব এটা ভাবতেও পারি না। সেটা আর সম্ভবও নয়। অনেকবছর হল নববর্ষের দিন দোকানে দোকানে যাওয়া হয় না"। কিন্তু এবছর? এবছর কী বিশেষ প্ল্যানিং কিছু নেই? বিয়ের পর প্রথম নববর্ষ বলে কথা!
এটুকু জানালেন, প্ল্যানিং এর মধ্যে একদম টপে রয়েছে ভাল করে ঘুমানো। আগে পরে শুটিংয়ের ব্যস্ততায় ক্লান্ত রূপসা। তারপর, একটু শপিং, নিজের পছন্দের বাঙালি রেস্তোরায় খাওয়াদাওয়া, বাবা-মায়ের সঙ্গে সঙ্গে এবার দলে সামিল তাঁর জীবনসঙ্গীও। সন্ধের পর থেকে শ্বশুর বাড়িতে জমিয়ে আড্ডা এবং সেলিব্রেশন। একসঙ্গে সবাই মিলে জমাটি আড্ডা তো রয়েছেই। তাঁর সঙ্গে, অভিনেত্রীর পছন্দের খাওয়াদাওয়া কিন্তু অবশ্যই থাকছে। ভালমন্দ রান্না সঙ্গে পরিবার, এই নববর্ষ নিদারুণ আনন্দে কাটবে বলেই জানিয়েছেন রূপসা।