তিনি নচিকেতা চক্রবর্তী ( Nachiketa Chakraborty )। তিনি জীবনমুখি গান গাইতে ভালবাসেন, তথাপি গেয়ে এসেছেন এই ধরনের গান। তার গানে বিপ্লব ঘটতে পরে এমনটাই মনে করেন অনেকে। কিন্তু শিল্পীর নিজের কী মতামত?
Advertisment
তাঁর গানে সামাজিক অবক্ষয় থেকে নানা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এমনকি ফুটে ওঠে চারপাশের নানা ঘটনার রেশ। তিনি সহজ কথা সহজ করে বলতে ভালবাসেন। বাস্তবের সঙ্গে চোখে চোখ মিলিয়ে সুর তুলতে ভালবাসেন। কিন্তু রাজনীতির মঞ্চে তাঁকে দেখা যায় না কেন, সেই নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। শিল্পী নিজের প্রোফাইল থেকেই শেয়ার করেছেন একটি সাক্ষাৎকার। যেখানে তাঁকে নানা বিষয়ে আওয়াজ তুলতে দেখা যায়।
তাঁর নিজস্ব সৃষ্টি আছে, গান আছে..? তাহলে আদ্যোপান্ত একজন রাজনৈতিক মানুষ আজও রাজনীতিতে নেই কেন? শিল্পী উত্তর দেন... "কত সাহিত্যিক তো রয়েছেন তারা কি প্রিন্টিং প্রেস চালান? এভাবে ধরলেও তো হয়! রবি ঠাকুর লিখতেন, তিনি কি প্রেস চালাতেন? আমিও সেরকমই!" এটুকু বলেই হেসে ফেলেন তিনি। তাঁর মতামতের উদ্দেশ্য এটাই, যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হলেই সেই হাওয়ায় শ্বাস নেওয়া যায় না। এখানেই শেষ না।
রাজনীতি প্রসঙ্গে কী বললেন নচিকেতা? ( Nachiketa On Politics )
গানের মাধ্যমে আদৌ কোনও বদল সম্ভব? নাকি তাঁর জন্য আলাদা করে কোনও ক্ষমতার দরকার? আর সেই ক্ষমতা রাজনীতির সূত্রে পাওয়া গেলে..? এর উত্তরে নিজের মনের কথা জানান তিনি। শিল্পীর উত্তর, "গান গেয়ে সমাজ বদলানো সম্ভব না। সেটা একমাত্র মার্ক্সের পথেই সম্ভব। সেটা যদি হতই তাহলে ৩০ বছর ধরে আমি গান গাইছি, অনেকটাই বদলে যেত। আর যদি, বলেন রাজনৈতিক ক্ষমতার কথা, তাহলে বলব এইসব ক্ষমতা আর করাপ্টেড করে দিত আমায়। তাই, খুব একটা সুবিধা হত বলে মনে হয় না। আসলে, সমাজে স্যাটেলাইট আরও অনেক কিছু এসে গিয়েছে। সেই কারণেই সহজে রাজনৈতিক বিল্পব ঘটানো সম্ভব না।"
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই তিনি আলোচনায় ছিলেন। একটি অনুষ্ঠান করতে গিয়েই বাচ্চাকে অশ্রাব্য গালিগালাজ করে ফেলেন তিনি। কেবল ফোটো তুলতে চাওয়ায় এমন খারাপ মন্তব্য করতেই তাঁকে রোষানলে পড়তে হয়।