ডালহৌসির কয়ালাঘাটা এলাকায় পাইস হোটেল চালিয়েই ভাইরাল মমতা অর্থাৎ নন্দিনী গাঙ্গুলি। কিছুদিনের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয় তিনি। প্রতিদিনের পেট চালানোর তাগিদেই সকাল থেকে কোমর বেঁধে লেগে পড়েন নন্দিনী এবং তাঁর পরিবার। সেই সুবাদেই ডাক পড়েছিল দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চে। তারপর?
সেই মঞ্চে পা রাখতেই বেধড়ক ট্রোল সকলের ‘Smart দিদি’। নন্দিনী, ‘দিদি নম্বর ওয়ানে’ যাচ্ছেন একথা আগেই শোনা গিয়েছিল। তবে, গতকালের পর্বের পর থেকেই কানাঘুষো আলোচনা শোনা যাচ্ছে তাঁকে নিয়ে। কেউ আঙ্গুল তুলছেন তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার দিকে আবার কেউ কটাক্ষ করছেন তাঁর গানের গলার কারণে। হঠাৎ গান কেন? কেনই বা এই প্রসঙ্গ উঠছে? সামনে তখন দাড়িয়ে শুভশ্রী। হেডফোন রাউন্ডের শুরুতে গান গাইতেই হাসির রোল নেটপাড়ায়।
[আরও পড়ুন: স্মার্ট দিদির ‘কেল্লাফতেহ’! নন্দিনীর রান্নাঘরে মদন, খেয়ে বললেন ‘ও লাভলি..’]
কেউ বলছেন, “এভাবে গান গাওয়ার কী দরকার”, আবার কেউ বলছেন, “গলার কি ছিরি!” যদিও অনেকে আবার তাঁকে সমর্থনও করেছেন। তাঁদের কথায়, কানে হেডফোন থাকলে নিজের গলা শুনতে না পাওয়াই স্বাভাবিক। মাত্র কিছুদিনের মধ্যেই তিনি ভাইরাল। সেই নিয়েও বাঁকা চোখে দেখছেন অনেকেই। কেউ বলছেন, “অনেক কাকিমা মাসিমাকে দেখেছি রাস্তার ধারে বসে ব্যবসা করেছেন কিন্তু একে ভাইরাল করার কী অর্থ”? আবার কেউ বলছেন, “এবারই বদলে যাবে নন্দিনী”।
নন্দিনীকে জনপ্রিয় করে তুলেছেন যারা আজ তাদেরই ভুলে গেলেন তিনি। দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চে অস্বীকার করলেন সম্পূর্ন ঘটনা। বললেন, ভগবানের জন্য পরিচিতি পেয়েছেন। আর এই কথা প্রকাশ্যে আসতেই তাঁকে তুলোধোনা করলেন নেট পাড়ার সদস্যরা। কেউ কেউ তো তাঁর তুলনা টানলেন রানু মণ্ডলের সঙ্গেও।
উল্লেখ্য, নেটপাড়ায় বাড়াবাড়ি হচ্ছে নন্দিনীকে নিয়ে এই নিয়ে আওয়াজ তুলেছিলেন অনেকেই। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই নন্দিনী ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার কাছে জানিয়েছিলেন, বছর দুয়েক আগে থেকে অমানুষিক পরিশ্রম করছেন তিনি। আজকের পরিস্থিতি অনেকটাই ভাল। বরং সেইসময় কেউ তাঁর দিকে ফিরেও চাননি। হাজারো লড়াই করার পরে আজকের দিনে তিনি লাভের মুখ দেখেছেন।