প্রখ্যাত চিত্রকার যতীন দাসের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে এবার মুখ খুললেন তাঁর কন্যা, অভিনেত্রী পরিচালক নন্দিতা দাস। যতীন দাসের বিরুদ্ধে #MeToo আন্দোলনের জেরে সরব হয়েছেন অনেকেই। এবার নন্দিতা জানিয়েছেন, তাঁর বাবার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ থাকলেও তিনি #MeToo-র পাশেই দাঁড়াবেন।
একটি কাগজের কোম্পানির সহ প্রতিষ্ঠাতা এক মহিলা মঙ্গলবার যতীন দাসের বিরুদ্ধে ১৪ বছরের পুরনো যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন। একটি ফেসবুক পোস্টে নন্দিতা বলেছেন, যতই তাঁর বাবার বিরুদ্ধে অপ্রীতিকর অভিযোগ আসুক না কেন, তিনি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সেই সমস্ত মহিলাদের সঙ্গেই লড়াই করবেন যাঁরা তাঁদের হেনস্থার কাহিনি সামনে আনছেন। তবে পরিচালক এও বলেন, কাউকে অভিযুক্ত করার আগে প্রত্যেক মহিলা যেন নিশ্চিত হন তিনি ঠিক কী অভিযোগ করছেন তা নিয়ে।
প্রসঙ্গত, #MeToo কান্ডে যতীন দাসের নামের সঙ্গে প্রশ্নচিহ্ন জুড়ে যাওয়াতে স্তম্ভিত হয়েছেন অনেকেই। টুইটারে এক মহিলা এদিন নামকরা এই চিত্রকরের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ আনেন। ঘটনাটার বিরবণ দিয়ে মহিলা বলেন, সে সময়ে তাঁর বয়স ছিল ২৮ বছর। একটি ডিনারে যতীন দাস ওই মহিলাকে জিজ্ঞেস করেন, যে তাঁর সময় থাকলে তিনি যতীনকে অ্যাসিস্ট করতে পারেন কী না। এই কাজের সুযোগ দেওয়ার দ্বিতীয় দিনেই চিত্রকার তাঁর খিড়কি ভিলেজ স্টুডিওতে ওই মহিলার শ্লীলতাহানী করেন বলে অভিযোগ।
তবে পদ্মভূষণ সম্মানে সম্মানিত যতীন দাস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এবং তিনি এও বলেছেন, বর্তমানে কারোর দিকে আঙুল তোলা একটি খেলায় পরিণত হয়েছে শুধুমাত্র "মানুষ মজা পাচ্ছেন" বলে। তিনি তাঁর বিরুদ্ধে আসা অভিযোগকে কুৎসিত বলেও মন্তব্য করেছেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "আমি আশ্চর্য হয়েছি। যা যা চারপাশে ঘটছে আজকাল... কিছু মানুষ কাজগুলো করছেন আর কিছু মানুষ এই সুযোগে অন্য মানুষের ওপর দোষারোপ করছেন। আমি ওঁকে চিনিই না, কোনও দিনও দেখা করি নি। যদি কখনও কারোর সঙ্গে দেখা করে থাকি, তাহলেও তিনি এরকম অভিযোগ আনতে পারেন, এমন কাজ করি না... এটা অত্যন্ত কুৎসিত।"
Read the full story in English