"জনজীবনের উপর করোনার (Covid-19) খাঁড়া ঝুলছে। রাজ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন, হাসপাতালের বেড নেই, এমন পরিস্থিতিতে জমায়েত করে বিক্ষোভ প্রদর্শন! দায় কি মুখ্যমন্ত্রী নেবেন?" প্রশ্নবাণ ছুঁড়লেন শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)।
সোমবার নারদকাণ্ডে (Narada Scam) রাজ্যের মন্ত্রী-বিধায়কদের গ্রেপ্তারির পর নিজাম প্যালেসের সামনে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের তুমুল বিক্ষোভ। বেলা গড়াতেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল সংশ্লিষ্ট চত্বর। সামাজিক সুরক্ষাবিধি, লকডাউনের বালাই নেই! রাজ্যের এই চরম অতিমারী (Pandemic) পরিস্থিতিতে যেখানে অক্সিজেন, হাসপাতালের বেডের জন্য হাহাকার, ভ্যাকসিনের জন্য উদভ্রান্ত হয়ে ফিরছে সাধারণ মানুষ, সেই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এমন পদক্ষেপকে বিজেপি চাণক্যের ‘রাজনৈতিক চাল’ হিসেবেই দেখছেন রাজনীতিকদের একাংশ। তাঁদের দাবি, “নির্বাচনে হেরে প্রতিহিংসা পরায়ণ গেরুয়া শিবিরের উদ্দেশ্য বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা, সেই ফাঁদে দিলেই মুশকিল!” সেই প্রেক্ষিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উত্তরসূরী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের আইন মেনে কোভিডবিধি না ভাঙার বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু তাতেও রেহাই মেলেনি। এই চরম অতিমারী পরিস্থিতিতে জমায়েত করা নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোকে বিঁধলেন বামপন্থী মনোভাবাপন্ন অভিনেত্রী।
শ্রীলেখার মন্তব্য, "যেখানে মানুষের জীবন বাজিতে, ভ্যাকসিন, হাসপাতালে আইসিইউ বেড কিংবা অক্সিজেন পাওয়া যাচ্ছে না। সেখানে লকডাউনের নামে প্রহসন চলছে। এগুলো নিয়ে কি মুখ্যমন্ত্রীর মাথা ঘামানো উচিত নয়? এবার আমজনতাই বলুক, এই বিশৃঙ্খলার পরিণতির দায়িত্ব কি উনি নেবেন?" জমায়েতের কয়েকটি ছবি শেয়ার করেও অভিনেত্রী প্রশ্ন ছুঁড়েছেন, "লকডাউন লকডাউন খেলবেন?"