তাজমহলের নাম বদলে 'তেজোমহল' কিংবা লখনউকে 'লক্ষ্মণ নগরী' করার দাবি বহুদিন ধরেই। দেশের বর্তমান শাসক দলের সমর্থকদের মুঘল স্থপতি নিয়েও মাথাব্যথার অন্ত নেই! চরম হিন্দুপন্থীরা অনেকবারই সুর চড়িয়েছেন এর বিরুদ্ধে। এবার সেই প্রেক্ষিতেই বিস্ফোরক কথা বলে ফেললেন বলিউডের প্রবীণ অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ।
শাহ কিংবা খান পদবী হওয়ার জন্য বলিউড ইন্ডাস্ট্রির অনেক তারকাকেই খোঁটা, সমালোচনা শুনতে হয়। এমনকী দেশদ্রোহীর তকমাও সাঁটা হয় তাঁদের নামের নেপথ্যে। নাসিরুদ্দিনও সেই তালিকা থেকে বাদ যাননি! বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে কটাক্ষ শুনতে হয়েছে তাঁকেও। এবার মুঘলদের নিয়ে অযাচিত সমালোচনার উত্তর দিলেন নাসিরুদ্দিন শাহ।
সম্প্রতি জি ফাইফ-এর জন্য 'তাজ' নামের ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেন নাসিরুদ্দিন। সেই সিরিজের প্রচারের সময়ই মুঘলদের নিয়ে এত কটাক্ষ, সমালোচনার প্রত্যুত্তর দিতে শোনা যায় অভিনেতাকে। নাসিরুদ্দিনের সাফ কথা, "মুঘলরা যদি এতটা শয়তানই হয়, তাহলে যাঁরা এর বিরোধিতা করছেন, তাঁরা তাজমহল, কুতুবমিনার, লালকেল্লা এসব ভেঙে গুঁড়িয়ে দিচ্ছেন না কেন? এগুলো তো মুঘলদেরই তৈরি। লালকেল্লাকে এত পরিত্র স্থান বলে মনে করা হয় কেন? সবসময়ে যেমন ওদের খলনায়ক বানানোর দরকার পড়ে না, ঠিক তেমন ওদের গৌরবান্বিত করার প্রয়োজনও নেই।"
<আরও পড়ুন: ‘ভারত-ই আমার দেশ..’, কানাডার নাগরিকত্ব ছাড়ছেন অক্ষয় কুমার>
এখানেই অবশ্য থামেননি প্রবীণ অভিনেতা। সিলেবাসের পাঠ্যবইতে কেন মৌর্য কিংবা গুপ্ত সাম্রাজ্যের কথা অত খুঁটিনাটিভাবে দেওয়া নেই, শুধু মুঘল, ব্রিটিশদেরই বড় বড় অধ্যায় পড়ানো হয়? সেই প্রশ্নও তুললেন নাসিরুদ্দিন শাহ।
প্রসঙ্গত, বিজেপি সরকারের তরফে বছরখানেক ধরেই মুঘল সাম্রাজ্যের স্থপতি কিংবা সেইসময়কার স্থানের নাম, যেগুলো এখনও চলতি, সেসব নিয়ে একাধিকবার কুরূপ মন্তব্য করা হয়েছে। মুঘল যুগের ৪০টা গ্রামের নাম বদলানো থেকে মোগল গার্ডেনের নাম বদলানোর মতো বহু ঐতিহাসিক চিহ্নকেই ভূলুন্ঠিত করেছে। এবার সেই প্রেক্ষিতেই মত পেশ করলেন নাসিরুদ্দিন শাহ।