ফের দুঃসংবাদ বিনোদনজগতে। সোমবার বাংলা ইন্ডাস্ট্রির মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ল! আবারও অভিভাবক বিয়োগ টলিউডের। প্রয়াত তরুণ মজুমদার (Tarun Majumdar Death)। স্বনামধন্য পরিচালকের প্রয়াণের খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোকে ভেঙে পড়েছে বাংলা বিনোদুনিয়ার তারকারা। একের পর এক অভিভাবকের চলে যাওয়া কিছুতেই মানতে পারছেন না তাঁরা। টুইটে শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের।
প্রসঙ্গত, সোমবার সকাল ১১টা ১৭ মিনিটে প্রয়াত হন তরুণ মজুমদার। দিন কয়েক ধরেই অসুস্থ ছিলেন তরুণ মজুমদার। ভর্তি ছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালের আইসিইউতে। রাখা হয়েছিল লাইফ সাপোর্টে। তবে গত বৃহস্পতিবার তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। খবর পেয়েই হাসপাতালে দেখতে ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫ সদস্যের এক মেডিক্যাল বোর্ড তরুণ মজুমদারের চিকিৎসার তত্ত্বাবধানে ছিলেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ষীয়াণ পরিচালকের হৃদযন্ত্র ঠিকমতো কাজ করছিল না। ফুসফুসে সংক্রমণও ছিল। শ্বাসকষ্টও হচ্ছিল। রাইস টিউব দিয়ে খাওয়ানো হচ্ছিল পরিচালককে। তবে চিন্তা বাড়ায়, পরিচালক তরুণের আচ্ছন্নভাব বৃদ্ধি পাওয়া। পাশাপাশি বার্ধ্যজনিত কারণে শারীরিক বেশ কিছু সমস্যা তো ছিলই।
আরও পড়ুন < ‘তরুণদা’কে হারিয়ে শোকবিহ্বল ঋতুপর্ণা, ‘কড়া শিক্ষক’কে মিস করবেন শতাব্দী >
১৯৩১ সালের অবিভক্ত বাংলায় জন্ম তরুণ মজুমদারের। চার-চারটি জাতীয় পুরস্কার রয়েছে পরিচালকের ঝুলিতে। এছাড়াও ৭টি BFJA পুরস্কার, ৫টি ফিল্মফেয়ার, আনন্দলোক-সহ অগণিত পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ১৯৯০ সালে ভারত সরকারের থেকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন।
পরিচালক হিসেবে শিঁকে ছেড়েন ১৯৫৯ সালে। আর পয়লা সিনেমাতেই বাজিমাত! উত্তম-সুচিত্রার মতো হিট জুটি নিয়ে তৈরি করে ফেলেন চাওয়া পাওয়া। ৬২ সালে কাঁচের স্বর্গ সিনেমার জন্য প্রথমবার জাতীয় পুরস্কার হাতে তুলে নেন। এছাড়াও, বালিকাবধূ, কুহেলি, শ্রীমান পৃথ্বীরাজ, দাদার কীর্তি, ভালবাসা ভালবাসা, আপন আমার আপন-এর মতো একাধিক ব্লকবাস্টার সিনেমাও উপহার দেন দর্শককে।
উল্লেখ্য, তরুণ মজুমদার তাঁর গোটা ফিল্মি কেরিয়ারে সবথেকে বেশি কাজ করেছেন স্ত্রী-অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায় ও তাপস পালকে নিয়ে। শুধু তাই নয়, তাঁর হাত ধরেই রুপোলি পর্দায় উঠে আসেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়, মহুয়া রায়চৌধুরি, তাপস পাল, অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়দের মতো তাবড় অভিনেতারা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন