বিলাসবহুল গাড়ি ছেড়ে আজকাল মুম্বইয়ের লোকাল ট্রেনেই যাতায়াত করছেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। আর খ্যাতনামা বলিউড অভিনেতাকে কিনা সহযাত্রীরা কেউ চিনতেই পারলেন না! কেন? মাস্কে ঢাকা মুখ। চোখে সানগ্লাস। একেবারে ছাপোষা পোশাক। কে বলবে ইনি প্রথমসারির বলিউড অভিনেতা?
সম্প্রতি এক ভাইরাল ভিডিওতেই দেখা গেল যে, বর্তমানে নওয়াজউদ্দিন লোকাল ট্রেন সফরে মজেছেন। দেখা গেল, প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়েই আর পাঁচজন যাত্রীর মতো ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। ট্রেন আসতেই উঠে পড়লেন। ফাঁকা দেখে একটা সিটে বসলেন। অভিনেতার এক অনুরাগী তাঁকে চিনতে পেরে, বিরক্ত করেননি। দূর থেকেই গোটা বিষয়টা ক্যামেরাবন্দি করছিলেন। তবে প্ল্যাটফর্মে দাড়িয়ে থাকার সময়ে অভিনেতার নজরে পড়ে সেটা। তৎক্ষণাৎ তিনি সরে যান সেখান থেকে।
পরনে লাল টি-শার্ট, ট্র্যাক প্যান্ট, মাস্কে ঢাকা মুখ। তারকাসুলভ আচরণের কোনও লক্ষণ-ই নেই। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই অভিনেতাকে সংবাদমাধ্যমের তরফে প্রশ্ন করা হয়, আপনাকে কেউ চিনতে পারল না? জবাব দিতে গিয়ে নওয়াজউদ্দিন হেসে বলেন, "আমি তো মাস্ক পরে ছিলাম। আজকাল আসলে মাস্কের জন্য বেশ সুবিধে হয়ে গেছে।"
কিন্তু হঠাৎ কেন লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করছেন অভিনেতা? এপ্রসঙ্গে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির উত্তর, "মুম্বইয়ে যা যানজট হয়, সেটা এড়াতেই লোকাল ট্রেনে ওঠা।" আসলে এদিন সকালেই কেরালা থেকে ফিরেছেন নওয়াজ। তারপর মুম্বইয়ের মীরা রোডে শুটিং চলছিল। সেখান থেকেই এক অনুষ্ঠানে যাওয়ার ছিল। নির্ধারিত সময়ে যাতে পৌঁছতে পারেন, তাই লোকাল ট্রেন ধরেছিলেন। অভিনেতা হয়েও তিনি যে এত সাধারণ জীবনযাপন করেন, সেটা দেখেই ধন্য ধন্য করছে নেটদুনিয়া।
<আরও পড়ুন: প্রয়াত অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য? মুখ খুললেন স্ত্রী সংযুক্তা>
মাসখানেক আগেই মুম্বইয়ের ভারসোভায় ইয়ারি রোডে প্রাসাদোপম বাড়ি বানিয়েছেন অভিনেতা। ধবধবে দুধ সাদা রং। পুরোটাই শ্বেতপাথরে নকশা কাটা। বছর তিনেক সময় লেগেছে প্রাসাদোপম এই বাংলো বাড়ি তৈরিতে। আর নওয়াজ নিজে দাঁড়িয়ে থেকে গোটা বিষয়টার তদারকি করেছিলেন। এই বিরাট বাংলো তাঁর কঠোর পরিশ্রমের ফল। একটা সময় ছিল যখন তিনি মুম্বইতে প্রথম এসেছিলেন, তখন চার জনের সঙ্গে একটা ছোট্ট ঘর শেয়ার করতে হত। সেই ঘর এতটাই ছোট ছিল যে, একজন যদি দরজা খুলত অন্য কারও হাতে-পায়ে লেগে যেত। কিন্তু আজকে নিজের বাংলোতে যে শৌচাগার তিনি ব্যবহার করেন, তাঁর সাইজও ওই ঘরের থেকে বড়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন