সুশান্ত সিং রাজপুত মামলায় চার্জশিট জমা দিয়েছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। ১২ হাজার পাতার সেই চার্জশিটে নাম রয়েছে প্রয়াত অভিনেতার বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী, তাঁর ভাই শৌভিক-সহ ৩৩ জনের। চার্জশিট পেশের একদিন পরেই এটিকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করলেন রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানেশিণ্ডে। একইসঙ্গে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন, শেষ হাসি তাঁর মক্কেলই হাসবেন।
রিয়ার আইনজীবী আরও বলেছেন, যেকজনের নাম চার্জশিটে রয়েছে আর যে পরিমাণ মাদক গোটা তল্লাশি প্রক্রিয়ায় এনসিবি পেয়েছে অভিযুক্তদের কাছে, তা কিছু না। ১২ হাজার পাতার চার্জশিটে যেভাবেই হোক রিয়াকে দোষী দেখাতে হবে এই মনোভাব নিয়ে তদন্ত করেছে এনসিবি। যে পরিমাণ মাদক উদ্ধার হয়েছে এতদিনে তার থেকে অনেক বেশি মাদক একবার হানা দিয়ে মুম্বই পুলিশের নারকোটিক্স সেল বা বিমানবন্দরের কাস্টমস এজেন্সি উদ্ধার করে। রিয়া বা বাকি অভিযুক্তদের কাছ থেকে তেমন কিছু উল্লেখযোগ্য পাননি এনসিবি আধিকারিকরা। বরং উপর থেকে নিচতলা পর্যন্ত এনসিবি চেষ্টা করেছে বলিউডে মাদক-যোগ বের করতে। ভগবানই জানেন কেন!
এনসিবির চার্জশিট ধোপে টিকবে না বলে দাবি করেছেন আইনজীবী। রিয়া চক্রবর্তীকে দোষী প্রমাণ করা ছাড়া আর কোনও ভিত্তিই নেই তদন্তের। এমনকী হাইকোর্টও কোনও তথ্যপ্রমাণ পায়নি রিয়ার বিরুদ্ধে। তাই রিয়াকে জামিন দেয় আদালত। কিন্তু আমরাই শেষ হাসি হাসব, সত্যের জয় হবে। প্রসঙ্গত, গত বছর ১৪ জুন বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃতদেহ। তারপর সেই মৃত্যু মামলায় মাদক-যোগের অভিযোগ উঠে আসে।
ইডির হাতে আসা রিয়া, শৌভিক এবং সুশান্তের কয়েকজন কর্মীর ও বন্ধুদের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ভিত্তিতে আগস্ট মাসে মাদক মামলাটি দায়ের করা হয়। তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে প্রয়াত অভিনেতার জন্য মাদক জোগাড় এবং সরবরাহ করার অভিযোগ ওঠে। গ্রেফতার করা হয় রিয়া এবং শৌভিককে। পরে তাঁরা জামিনে মুক্তি পান।