এটুকু বাচ্চাও যে, এহেন কথা বলতে পারেন যেন ভাবাই দায়। আসলেই, যেন কৃষ্ণের কৃপা রয়েছে তাঁর ওপর। গানের মঞ্চে, সেই ছোট্ট কৃষ্ণ-ভক্ত যে এমন কথা বলবেন, চোখ কপালে সকলের।
Advertisment
একেই তো তাঁকে ছোট্ট সিংহাসনে বসিয়ে নিয়ে আসলেন পবনদীপ। সঙ্গে তান্র বাবা=মা। ছোট সেই কৃষ্ণ-ভক্তকে দেখে নেহা কক্কর যেন অবাক। এটুকু বয়সেই ভগবানের প্রতি তাঁর কত আস্থা, সে ভাবে মলীন। ভাগবত দাস ব্রহ্মচারী তাঁর নাম। সে যেন ছোটখাটো একজন প্রভুই। নেহা, হাই-হ্যালো করতেই সে বলে উঠল… হাই-হ্যালো ছোড়ো! জয়-শ্রী কৃষ্ণ বোলো।
স্টেজ জুড়ে তখন এক অন্যরকম মনোভাব। আধ্যাত্মিক-ভাবে বিলীন বেশিরভাগ। নেহাকে নিদারুণ পাঠ পড়াল সে। শিল্পী তাঁর মিষ্টতা দেখে বেজায় খুশি। তাঁকে কৃষ্ণ ভগবানের সঙ্গে তুলনা করতেই সেই একরত্তির জবাব, আমি তো একটু মিষ্টি, আর ভগবান তো অনেক মিষ্টি। এখানেই শেষ নয়। গোবর্ধনের বাসিন্দা ছোট্ট ভাগবত কত কী জানেন দেখে অবাক স্টেজের বাকিরাও।
সে বলছে, একবার ইন্দ্রদেব অনেক বৃষ্টি শুরু করলেন। তারপর, কৃষ্ণ ভগবান ছোট আঙ্গুলে গোটা গোবর্ধন পর্বত তুলে নিলেন। আমি ওখানকার বাসিন্দা। এমনকি, তাঁকে জল খাওয়ার কথা জিজ্ঞেস করতেই, সে সোজা বলে ওঠে, আমি, যা খাই, সেটা ভগবানকে দিয়ে খাই।
এটুকু বাচ্চা, তাঁর ঈশ্বর-প্রেম দেখে মুগ্ধ সকলে। বলাই বাহুল্য, সে এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। শুধু তাই নয়, তাঁর মিষ্টি মিষ্টি কথা শুনলে যেন মন খুশি হয়ে যায়।