প্রখ্যাত চিত্রগ্রাহক নিমাই ঘোষ প্রয়াত। বুধবার সকাল ০৭.১০ নাগাদ নিজ বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এদিন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে ওনার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ভাই চিত্ত ঘোষ বলেন, শেষ মূহুর্তে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন দাদা। কলকাতা পুলিশ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন ইতিমধ্যেই। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
বুধবারই ১২.৩০ নাগাদ কেওড়াতলা মহাশ্মশান শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে তাঁর।বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্য জনিত কারণে অসুস্থ ছিলেন তিনি। তবুও ছবি তোলার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিছুদিন আগেও তাঁর মৃত্যুর ভুয়ো খবর কানে এসেছিল। তখন প্রখ্যাত ফোটোগ্রাফার মজা করে বলেছিলেন, ''ভালই হল। আমি চলে গেলে কী হতে চলেছে দেখে নেওয়া গেল একবার।''
আরও পড়ুন, নিমাই ঘোষের শেষ সাক্ষাত্কার ‘মানিকদাই তো আমার জীবনটা শেষ করে দিলেন!’
মৃত্যুকালে রেখে গেলেন এক ছেলে ও এক মেয়েকে। ভারতে লকডাউনের কারণে একসঙ্গে শেষকৃত্য করতে ২০ জনের বেশির যাওয়ার নিয়ম নেই। ছেলে বাইরে রয়েছেন, ফিরতে পারবেন না। সেকারণে সমস্ত কাজ সামলাতে হবে পরিবারের মানুষজনকে।
“তুমি তো আমার অ্যাঙ্গেল মেরে দিয়েছো হে! ছবি তোলো, ছবি তোলো।” পিঠ চাপড়ে বলা সত্যজিৎ রায়ের এই বাক্যটাই বদলে দিয়েছিল সেদিনের তরুণের ভবিষ্যত। তারপর থেকেই যাত্রা শুরু। গুপি গায়েন বাঘা বায়েন থেকে আগন্তুক একের পর এক সত্যজিতের ছবিতে তিনি কাজ করেছেন। মৃণাল সেন, ঋত্বিক ঘটক, অপর্ণা সেনের মতো পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেছিলেন নিমাই ঘোষ। ২০১০ সালে ভূষিত হয়েছিলেন পদ্মশ্রী সম্মানে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন