মানুষ ঘর থেকে বেরোতে পারছেন না। সিনেমা-থিয়েটার-কনসার্ট সবই বন্ধ। এই অবস্থায় বিনোদন বলতে হয় টিভি নয়তো ওয়েব মাধ্যম। বিগত ৩ মাসে সারা পৃথিবীতেই মানুষের অনলাইন-টাইম বেড়ে গিয়েছে কয়েক গুণ। এই অবস্থায়া সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে যে সংস্থাগুলি, তার মধ্যে অবশ্যই রয়েছে নেটফ্লিক্স। বিগত ৩ মাসে রেকর্ড সংখ্যক সাবস্ক্রিপশন বেড়েছে নেটফ্লিক্সের-- ১৬ মিলিয়ন অর্থাৎ ১ কোটি ৬০ লক্ষ।
এখনও পর্যন্ত এই ওটিটি প্ল্যাটফর্মটিই সবচেয়ে জনপ্রিয় কনটেন্টের মান ও বৈচিত্র্যের জন্য। নতুন এই বিপুল পরিমাণ সাবস্ক্রিপশন আরও একবার প্রমাণ করল সেই কথা। পাশাপাশি আরও একটি বিষয় সামনে এল। আইসোলেশনে থাকা লক্ষ লক্ষ মানুষ এই প্ল্যাটফর্মের ওয়েব সিরিজ বা ছবিগুলি দেখে মন ভাল রাখছেন।
আরও পড়ুন: লকডাউনে অবশ্যই দেখুন ‘ভাইরাস’, ছোঁয়াচে রোগ নিয়ে সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি
বিশ্বজোড়া অতিমারীর এই সময়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা যেমন প্রয়োজনীয়, তেমনই গুরুত্বপূর্ণ মনকে সতেজ ও সুস্থ রাখা। ''এই কঠিন সময়ে বাড়িতে বন্দি থাকার মুহূর্তগুলো মানুষের কাছে একটু সহনীয় করে তুলতে পারছি, এটাই আমাদের সামান্য অবদান'', ভিডিও কলে সংস্থার ইনভেস্টরদের সঙ্গে আলোচনার সময় এই কথাগুলিই বলেছেন নেটফ্লিক্সের সিইও রিড হেস্টিংস।
মোটামুটি জানুয়ারি মাসের শেষ থেকেই করোনা অতিমারী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে হানা দিতে শুরু করে। তার পরে একে একে ইওরোপ ও আমেরিকা মহাদেশের দেশগুলিতে ও ভারতে এসে পৌঁছয় এই মারণ রোগ। ফেব্রুয়ারি থেকেই একাধিক দেশে আংশিক লকডাউন শুরু হয়ে যায়। লকডাউন ঘোষণা না হলেও বেশ কিছু দেশে ওই সময় থেকেই নাগরিকদের হোম কোয়ারান্টাইনে থাকতে বলা হয়।
এই সময়েই নতুন সাবস্ক্রিপশনের সংখ্যা বাড়তে থাকে। নেটফ্লিক্সের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৩ মাসে ১ কোটি ৬০ লক্ষ সাবস্ক্রিপশন-- এমন ঘটনা নেটফ্লিক্সের ১৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম। অতিমারীর প্রকোপ যতদিন না কমছে, ততদিন সাবস্ক্রিপশনের সংখ্যা যে আরও বাড়বে তা বলাই বাহুল্য।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন