২০১৮র শেষ তিনটে নেটফ্লিক্স সিরিজেই দেখা গেছে রাধিকা আপ্তেকে। লাস্ট স্টোরিজ, সেক্রেড গেমস ও ঘুলে তাঁকে দর্শক পছন্দও করছেন। তিনটে সিরিজেই অভিনেত্রীর চরিত্র একদম আলাদা। আর অনেকে এও বলছেন যে নেটফ্লিক্স প্লাটফর্ম রাধিকা আপ্তেকে সেই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিটা দিয়েছে যার তিনি যোগ্য।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ডট কমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রাধিকা আপ্তে জানান নেটফ্লিক্সের মতো প্ল্যাটর্ফমের সুবিধাগুলো কোথায়। তিনি বলেন, ''লাস্ট স্টোরিজ যখন তৈরি হয়েছিল আমি অবাক হয়েছিলাম। আমি তিনটে দেশে গিয়েছে সেখানে প্রত্যেকে নেটফ্লিক্সে সিরিজটা দেখেছে। তখন মনে হয়েছিল এটা মানুষের জন্য কতটা যথাযথ''। সিনেমা হলের ক্ষেত্রে কিছু বাধ্যবাধ্যকতা থাকে যা স্ট্রিমিং প্যাটর্ফমে অনেকটা প্রশস্ত। রাধিকা মনে করেন সে কারণেই বিশ্বের দর্শকের কাছে এটা ভীষণরকম ভাবে কাজ করছে। তিনি বলেন, ''এখানে এমনটা নয় যে আপানাকে এক্ষুণি দেখতে হবে বিষয়টা নইলে হল থেকে চলে যাবে। আবার এটাও নয় যে, পোল্যান্ডে আপনি দেখতে পাবেন না। আমি দেখেছি এটা কত সহজে প্রত্যেকের কাছে পৌঁছতে পারছে''।
রাধিকা আপ্তে নিজেই জানিয়েছেন নেটফ্লিক্সের এই ওয়েব সিরিজে বিশ্বকে মোহিত করার মতো বিষয় রয়েছে। তিনি এটাও বলেন, ''আমার মনে হয় আমাদের এরকম কোনও বিষয় নিয়ে কাজ করা দরকার যার মধ্যে ইউনির্ভাসাল অ্যাপিল আছে। খুব ছোট করে বলতে গেলে আর্টের দুনিয়ায়, কাঁটাতারটা ভীষণ সূক্ষ''। তাঁর পরবর্তী ওয়েব সিরিজ অর্থাৎ ঘুল নিয়েও কথা বলেন অভিনেত্রী।
তিনটে সিজনের সিরিজ ঘুল। ঘুল বা পিশাচের ধারণার ওপর নির্ভর করে তৈরি হয়েছে এই সিরিজ। যেখানে রাধিকা আপ্তে নিদা রহিমের চরিত্রে আর ঘুলের ভূমিকায় রয়েছেন মানব কল। যা দেখা যাবে ১৯০টি দেশের ১২৫ মিলিয়ন মানুষ। গত ২৪ তারিখ শুরু হয়েছে ঘুল। ফ্যান্টম ফিল্মসের সঙ্গে ইভানহয় ও ব্লুমহাউস প্রযোজনা করেছে এই সিরিজের।