শীতকাল মানেই আলিস্যি। রুক্ষ্ম ত্বক, সূক্ষ চুল, লর্ডসের পিচের মতো ফাঁটা ঠোঁট। আর সোয়েটার, চাদর, মাফলার, মাংকিটুপি, লেপ-কম্বলের সাম্রাজ্য। পরতের উপর পোশাকি পরত চড়াতে পারলেই যেন কেল্লাফতে। কুয়াশার চাদর আর হিমেল হাওয়ায় মোড়া শহর তখন আইসল্যান্ডের থেকে কিছু কম মনে হয় না বইকী! প্রাতঃকর্ম সারাটাও যেন দায়! বরফ গলা জল চোখে-মুখে পড়লেই প্রাণ যায় যায় অবস্থা। আর এই শীতকাল মানেই বাঙালিদের কাছে যেন 'আদিখ্যেতার সিজন'। না, নলেনগুড়ের রসগোল্লা-সন্দেশ, জয়নগরের সুগন্ধি মোয়া কিংবা কেক-পেস্ট্রির জন্য নয় শুধু। এসময়ে যে কোনও বাঙালি বাড়িতে ঢুঁ মারলেই বিচিত্র সব কাণ্ডকারখানার সাক্ষী থাকতে পারবেন আপনি। এই যেমন ধরুন, শীতকালে স্নান না করা নিয়ে কিংবা রুক্ষ্ম ত্বকের মেরামতিতে কোন ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে.. এসব খুটিনাটি বিষয়ও তখন পারিবারিক কলহের প্রতিপাদ্য বস্তু হয়ে ওঠে! সেরকমই এক শীতকাতুরে বাঙালি দম্পতির গল্প তুলে ধরেছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য এবং ঋদ্ধিমা ঘোষ।
Advertisment
শীতকাতুরে স্বামীর জ্বালায় স্ত্রীদের প্রাণ কেমন ওষ্ঠাগত হওয়ার জোগাড় হয়, সেরমকমই এক গল্প তুলে ধরা হয়েছে। নেপথ্যে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই। সম্প্রতি, সংশ্লিষ্ট ওয়েব চ্যানেলের সোশ্যাল পাতাতেও প্রকাশ করা হয়েছে শীতকাতুরে বাঙালির সাতকাহন। এই ভিডিওতে অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে দেখা গিয়েছে স্বামীর চরিত্রে। আর স্ত্রীয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ঋদ্ধিমা। শীতকাতুরে স্বামীর জ্বালায় যার প্রাণ রীতিমতো ওষ্ঠাগত হওয়ার জোগাড়। দুষ্টু-মিষ্টি দাম্পত্যের গল্প। যিনি কিনা শীত কবে হানা দিচ্ছে, গ্রহ-নক্ষত্র, পাঁজি মিলিয়ে সেসবের খুঁটিনাটি তথ্য জোগাড় করে ফেলেন। ঠান্ডার চোটে স্ত্রীকে দিনে চল্লিশবার কফির অর্ডারি দিতেও ভোলেন না। চাদর, কম্বল নিয়ে বেডরুম-কলহ তো আছেই। 'শীতকাতুরে বাঙালি' ভিডিওটিতে বেশ দক্ষতার সঙ্গেই এরকম এক দুষ্টু-মিষ্টি দম্পতির কাহিনি ফুটিয়ে তুলেছেন অনির্বাণ-ঋদ্ধিমা।
উল্লেখ্য, অনির্বাণ-ঋদ্ধিমা দর্শকদের কাছে ব্যোমকেশ ও সত্যবতী জুটি হিসেবেই পরিচিত। সম্প্রতি হইচই-তে মুক্তি পেয়েছে ব্যোমকেশ-এর ষষ্ঠ সিরিজ। আর সেই উপলক্ষেই এমন অভিনব প্রচারভাবনা প্রযোজনা সংস্থার। মন্দ নয়। বেশ মিষ্টি। মাত্র কয়েক মিনিটের এই ভিডিও দর্শকদের মুখে যে হাসি ফোটাবেই, তা বলাই বাহুল্য।