"যদি ছেড়ে দেয় সিবিআই, যদি কেটে যায় ভয়, মনে রেখো বউ ছিল পাশে, কোনও সুন্দরী প্রেমিকা নয়…" সোশ্যাল ওয়ালজুড়ে এমন মন্তব্যের ছয়লাপ। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের (Sovan Chatterjee) গ্রেপ্তারি নিয়ে নেটদুনিয়ায় চর্চাও কম হয়নি। সোমবার সকালে খবর পেয়েই নিজাম প্যাসেলে হন্তদন্ত হয়ে ছুটেছিলেন রত্না চট্টোপাধ্যায় (Ratna Chatterjee)। তখন অবশ্য বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Baishakhi Banerjee) দেখা না পাওয়া নজর এড়ায়নি সমালোচকদের। তবে দুপুর গড়াতেই 'শোভনদা'র পাশে থাকতে পৌঁছে গিয়েছেন নিজাম প্যালেসে। উপরন্তু রাতে রত্নার অনুপস্থিতিতে প্রেসিডেন্সি জেলের বাইরে বৈশাখী কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। নেটজনতার একাংশের সেই ঘটনা চৃড়ান্ত নাটকীয়তা ঠেকলেও রসিকতায় মজেছেন তাঁরা। আর এই ত্রিকোণ কাহিনি নিয়েই এখন তোলপাড় নেটদুনিয়া। তাঁরা নাকি এর সঙ্গে মিল খুঁজে পেয়েছেন শ্রীময়ী ধারাবাহিকের। অতঃপর সোশ্যাল ওয়ালে এখন সিরিয়াল-রাজনীতির আখ্যান মিলেমিশে একাকার।
নেটাগরিকদের একাংশ তো আবার রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে শ্রীময়ী ইন্দ্রাণী হালদারের তুলনাও জুড়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে, তাঁদের কাছে খলনায়িকা জুন আন্টি হয়েছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই রসিকতায় শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নামের পাশেও শ্রীময়ীর স্বামী অনিন্দ্যর নাম জুড়ে দিয়েছেন। কী কাণ্ড!
এই ত্রিকোণ কাহিনী নিয়ে নানা জনের নানা মন্তব্যে ছেয়ে গিয়েছে সোশ্যাল ওয়াল। কেই বা লিখছেন, ‘বউ উকিল নিয়ে ঘুরছেন, প্রেমিকা ওষুধ নিয়ে ঘুরছেন জীবনে আর কি চাই শোভনদা’? আবার কারও বা মন্তব্য, "ধারাবাহিকে যেমন শ্রীময়ী তাঁর স্বামীর বান্ধবী থাকা সত্ত্বেও তাঁর প্রতি কর্তব্য করতে ভোলে না, তেমনই শোভনের জীবনে বৈশাখীর উপস্থিতি সত্ত্বেও বিপদে স্বামীর পাশে এসে দাঁড়ালেন রত্না। শুধু তাই নয়, ছেলেকেও বাবার সাহায্য করতে পাঠিয়েছেন।" রত্নার এই আচরণ মুগ্ধ করেছে নেটজনতারা। আর তাই শ্রীময়ীর পোস্টারে তাঁর জায়গায় রত্নার মুখ বসিয়ে দেদার মিম ঘুরছে। ক্যাপশনে লেখা, "খারাপ সময়ে বউ পাশে থাকেন, প্রেমিকা নয়।"