অতিমারী আবহে উত্তরপ্রদেশের রোজ হাজার জনের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন। করোনায় আক্রান্ত পরিবারগুলিকে যাতে ক্ষুধার্ত না থাকতে হয়, সেই ভাবনা থেকেই একেবারে নিঃশব্দে যোগীর রাজ্যে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছন। তবে মানবসেবা করেও পিছু ছাড়েনি সমালোচনা। সদ্য কোভিড ভ্যাকসিন (Covid Vaccine) নিয়েছেন ফারহান আখতার (Farhan Akhtar)। আর টুইট করে সেকথা জানাতেই, নেটিজেনরা রে-রে করে উঠলেন! বলিউডের এই খ্যাতনামা পরিচালক-প্রযোজক-অভিনেতাকে নিয়ে নেটদুনিয়ায় এখন সমালোচনার অন্ত নেই। পাশাপাশি তারকাদের বাড়তি সুবিধে দেওয়ার অভিযোগও উঠল বৃহন্মুম্বই পুরসভার বিরুদ্ধে। ফারহান আখতারের বয়স নিয়ে প্রশ্ন তুলে খোঁচা দিতে শুরু করেছেন নেটদুনিয়ার নীতি-পুলিশেরা। তাঁদের অভিযোগ, মুম্বই পুরসভা প্রবীণ নাগরিকদের টিকাদানের ব্যবস্থা করেছে। তাও পূর্বনির্দিষ্ট বয়স অনুযায়ী। কিন্তু ৪৭ বছর বয়সি অভিনেতা কীভাবে আগেভাগে টিকা পেলেন?
সমস্যার সূত্রপাত ফারহানের টিকাদানের টুইটকে ঘিরে। আন্ধেরি স্পোর্টস কমপ্লেক্সে অভিনেতা তাঁর প্রথম কোভিড টিকা নিয়েছেন। সেকথা টুইট করেই তিনি মুম্বই প্রশাসন এবং বৃহন্মুম্বই পুরসভাকে (BMC) ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন। পাশাপাশি অনুরাগীদের উদ্দেশে তাঁর পরামর্শ, "টিকাকরণের গোটা প্রক্রিয়াটা শেষ হতে ২-৩ ঘন্টা সময় লাগে। তাই যাঁরাই টিকা নেবেন, তাঁরা যেন ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করেন। প্রয়োজনে জল এবং খাবার সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারেন।"
তবে অভিনেতার পরমার্শ কানে তোলা তো দূরের কথা! বরং, কোভিড টিকাকরণের নিয়মভঙ্গের অভিযোগ তুলে ফারহানকে তুলোধোনা করেছেন নেটজনতার একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, "ফারহানের বয়স কত? এত তাড়াতাড়ি কীভাবে টিকা নেওয়ার সুবিধে পেলেন তিনি, যেখানে তাঁর থেকে অনেক বয়স্ক মানুষও এখনও দ্বিতীয় ডোজ পাননি!" আবার কারও মন্তব্য, "আমার বাবার বয়স ৬৭ বছর। তিনি এখনও কোভিড-এর দ্বিতীয় টিকা পাননি। ৩০ এপ্রিল থেকে অপেক্ষা করে আছেন।" কেউ কেউ আবার মুম্বই পুরসভার বিরুদ্ধেও
ক্ষোভ উগরে দিলেন।