'ছিঃ! রাজনীতির ধূর্ত শকুন, ক্ষমতার লোভে আরও যান ভোটপ্রচারে', করোনা আক্রান্ত শুভশ্রীকে কটাক্ষ

রাজ্যের ষষ্ঠ দফা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election 2021) একদিকে যখন ব্যারাকপুরের ভোটবাক্সে আজ রাজ চক্রবর্তীর (Raj Chakraborty) ভাগ্যগণনার লড়াই, তখন করোনায় (Covid-19) আক্রান্ত হয়ে হোম আইসোলেশনে তাঁর স্ত্রী অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় (Subhashree Ganguly)। অতঃপর মা-বাবাকে ছাড়াই সন্তান ছোট্ট যুবানের দিন কাটছে। তৃণমূলের তারকাপ্রার্থী ভোটের দিনে অর্জুন-পিচ কাঁপাচ্ছেন, আর এদিকে সন্তানের থেকে দূরে থাকার কষ্টের কথা জানিয়ে নেটদুনিয়ার নীতি পুলিশের আক্রমণের শিকার হতে হচ্ছে শুভশ্রীকে। স্বামী রাজের হয়ে দিন কয়েক আগেই ভোটপ্রচারে ব্যারাকপুরে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। উপরন্তু সদ্য নিজের কোভিড আক্রান্ত হওয়ার জানিয়েছেন। আর সেই প্রেক্ষিতেই এবার কটু কথা শুনতে হচ্ছে তাঁকে। সহমর্মিতা প্রকাশ কররা পরিবর্তে নেটজনতার একাংশ তো রাজ-শুভশ্রীকে "রাজনীতির ধূর্ত শকুন" বলতেও পিছপা হচ্ছেন না! এমনকী, অভিনেত্রীকে কটাক্ষ করে এও বলছেন যে, "ক্ষমতার লোভে আরও যান ভোটপ্রচারে।"

এমনকী, ভোটপ্রচারে গিয়ে কতজনের শরীরের করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে এসেছেন? বলেও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ। সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, "এখন মনে পড়ছে মাস্ক পরা, গাইডলাইন ফলো করার কথা! যেই নিজের হল অমনি দরদ দেখাতে এলেন, নাহলে এতদিন তো ব়্যালি বার করে বেশ প্রচার করছিলেন স্বামী-স্ত্রী মিলে, হাজার হাজার মানুষকে বিপদের মুখে ঠেলে, আপনি নিশ্চয়ই সুস্থ হয়ে যাবেন, টাকার জোরটা তো আছে, কিন্তু যাঁদের মধ্যে ছড়িয়ে এলেন তাদের যেন ভগবান রক্ষা করে।" কেউ লিখেছেন, “ক্ষমতার এতো লোভ! এই অতীব মহামারীতে নিজে মিছিলে গিয়ে আরও হাজারও মানুষকে টেনে নিয়ে বিপদের মুখে ফেললে। করোনার বিশাল সমুদ্রে আরও কতজনকে টেনে নিয়ে মৃত্যুর মুখে ফেললে তার জবাবদিহি নিজের বিবেকের কাছে কোরো।”

নেটজনতার একাংশ আবার মাতৃত্বের পাঠও পড়ালেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়কে। ছেলে যুবানের ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছিলেন, "তোমাকে ছেড়ে এত দিন থাকতে হবে, কোনও দিন ভাবিনি।" ব্যস, অমনি আক্রমণ করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন নিন্দুকেরা। মা হলে কী করা উচিত, কী নয়? তার খাতা খুলে বসলেন সকলে। অভিনেত্রীর মন্তব্য বাক্স ভরে উঠল অপমানে। কেউ বললেন, "বাড়িতে ছোট বাচ্চা আছে, সেটা না ভেবেই ড্যাং ড্যাং করতে করতে ভোট চাইতে বেরিয়ে পড়লেন? যাই হোক, সুস্থ হয়ে উঠুন।" আবার কারও উপদেশ, এই জন্যই ভেবে কাজ করা উচিত।