হিন্দুত্ববাদ নিয়ে বরাবরই সুর চড়ান কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)। তবলিঘি জামাত নিয়ে মুসলিম-বিরোধী মন্তব্য করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর উপর। যার জেরে মামলা-মোকদ্দমাতেও জেরবার হতে হয়েছে তাঁকে। এবার সেই অভিনেত্রীর কপালেই কিনা জুটল 'হিন্দু-বিদ্বেষী'র তকমা! চৈত্র নবরাত্রির শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্ট করেছিলেন কঙ্গনা, আর সেখানেই প্রসাদের থালা থেকে উঁকি মারছে পিঁয়াজ! আর তাতেই ঘটল বিপত্তি। নজরে আসা মাত্রই নেটিজেনরা 'বলিউডের কন্ট্রোভার্সি ক্যুইন'কে আক্রমণ করা শুরু করেন।
কঙ্গনার নবরাত্রি (Navaratri 2021) পোস্টকে ঘিরে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, টুইটারে রীতিমতো ট্রেন্ডিং হয়ে উঠেছিল #Onions। নেটজনতার একাংশও কঙ্গনার উদ্দেশে কটাক্ষবাণ ছুঁড়তে শুরু করেন। নবরাত্রিতে পিঁয়াজ, রসুন খাওয়া নিষিদ্ধ জেনেও অভিনেত্রী কেন খাচ্ছেন? প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। কেউ বা আবার অবাক, "প্রসাদে পিঁয়াজ? নবরাত্রিতে কবে থেকে পিঁয়াজ, রসুন খাওয়া হচ্ছে?" পাশাপাশি ‘নকল হিন্দু’, 'হিন্দু-বিদ্বেষী' বলে বিদ্রুপও করা হয়েছে কঙ্গনা রানাউতকে। লেখা হয়েছে, “আসল হিন্দু অষ্টমীর প্রসাদে পিঁয়াজ খায় না, উপোস করা হোক বা না হোক, আপনি নকল হিন্দু কঙ্গনা।” নেটদুনিয়ায় এমন কটাক্ষ নজর এড়ায়নি অভিনেত্রীরয চিরাচরিত স্বভাবেই রণে ধরা দেন তিনি।
'হিন্দু-বিদ্বেষী'র তকমা পেয়ে এপ্রসঙ্গে কঙ্গনার সাফাই, “ভাবিনি, পিঁয়াজ যে এত ট্রেন্ড হয়ে যাবে। কিন্ত কাউকে আঘাতের জন্য পোস্ট করিনি, বরং এই পোস্টের মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছি হিন্দুধর্ম কতটা উদার। বাকিধর্মের মতো কঠোর নয়। দয়া করে সেই চিন্তার ব্যাঘাত ঘটাবেন না। আমি উপোস করলেও আমার পরিবারের বাকি সদস্যরা যদি প্রসাদের সঙ্গে স্যালাডে পিঁয়াজ খেতে পছন্দ করেন! তাতে ব্যঙ্গের কোনও কারণ তো আমি দেখছি না!”
সোশ্যাল মিডিয়ায় বরাবরই বেঁফাস কঙ্গনা। নবরাত্রির পোস্টে পিঁয়াজ বিতর্কের পর ট্রোলড হলেন দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে টুইট করে। কন্ট্রোভার্সি ক্যুইনের কথায়, "আজকের এই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে তৃতীয় সন্তান হলেই জরিমানা বা হাজতবাসের মতো শাস্তি হওয়া দরকার। চিনের মতো ভারতেও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন লাগু করা প্রয়োজন।" ছেড়ে কথা বলেননি নেটিজেনরাও। পাল্টা গুগলের স্ক্রিনশট দিয়ে কঙ্গনাকেও মনে করিয়ে দিয়েছেন যে তাঁরা তিন ভাইবোন। ব্যস, অমনি ময়দানে নেমে পড়েন অভিনেত্রী। কমেডিয়ান স্যালোনি গউরকে ব্যঙ্গ করে বলেন, "বোকার মতো কথা বোলো না। আমার দাদুর বাবার ৮ সন্তান ছিল। কিন্তু সেই সময়ে অনেকেই মারা যায়। সময়ের সাথে বদলাতে হয়। চিনের মতো অবিলম্বে আমাদেরও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে জোর দেওয়া উচিত।"