এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্ত হয়ে মলদ্বীপে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ঐন্দ্রিলা সেন (Oindrila Sen)। সঙ্গী অঙ্কুশও (Ankush Hazra)। সেখান থেকেই রাজ্য-রাজনীতির উত্তপ্ত পরিস্থিতি ভাবিয়ে তুলেছে অভিনেত্রীকে। অতঃপর সুদূর মলদ্বীপ থেকেই রাজ্যবাসীকে বুদ্ধিমানের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করার বার্তা দিয়েছেন ঐন্দ্রিলা। সম্প্রতি দিলীপ ঘোষের 'রগড়ে দেব' মন্তব্যের বিরোধিতা করেছিলেন। এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এক রূপক গল্প শুনিয়ে বুদ্ধি করে ভোট দেওয়ার আর্জি জানালেন করোনায় আক্রান্ত ঐন্দ্রিলা সেন। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি! অভিনেত্রীকে ঘিরে নেটজনতাদের তীব্র বক্রোক্তির বন্যা বয়ে যায়। একজন তো প্রশ্নও ছুঁড়ে দিলেন, "দিদি আপনাকে টিকিট দেননি?" অর্থাৎ এখানে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশেই 'তীর'!
Advertisment
প্রসঙ্গত বর্তমানে তারকারা রাজনৈতিক প্রসঙ্গে মুখ খুললেই, তাঁদেরকে নানারকম কটূক্তির শিকার হতে হচ্ছে। গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে রাজনীতির জড়িয়ে পড়ার বিষয়টিকে আসলে একেবারেই পছন্দ করছেন না আম জনতার একাংশ। কিন্তু সিনেপর্দার তারকা বলে কি, নিজস্ব রাজনৈতিক মতাদর্শ কিংবা দায়িত্ববাণ নাগরিক হিসেবে ভাল-মন্দের জ্ঞান থাকতে নেই! এসব তর্ক-বিতর্ক দূরস্ত! আপাতত ফেরা যাক ঐন্দ্রিলার কথায়।
ইনস্টাাগ্রামে শেয়াার করা পোস্টে ঐন্দ্রিলা বলেছেন, এক সিংহ জঙ্গলে নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সে জিতলে সবাইকে বিনামূল্যে পশমের শাল উপহার দেবে! সবাই প্রতিশ্রুতি পেয়ে দারুণ খুশি। কেবল এক ভেড়া প্রশ্ন তোলে, পশম কোথা থেকে আসবে? উত্তর নেই! বদলে সিংহ শুধুই হেসেছে। এখানেই গল্পের শেষ। অর্থাৎ, সরল ভেড়াকে যে এখানে আমজনতার সঙ্গে তুলনা করেছেন অভিনেত্রী, তা বোধহয় আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না! অন্যদিকে সেই গল্পের নিচেই যোগ করা "বুদ্ধিমানের মতোই ভোটটা দেবেন।"
কোনও রাজনৈতিক দলের উল্লেখ করেননি ঐন্দ্রিলা। তবে, তাতেও সমালোচনার হাত থেকে নিস্তার পাননি। নির্বাচনের সময় এমন একটি পোস্ট শেয়ার করতেই নেটজনতার একাংশ রে-রে করে উঠেছেন নায়িকার বিরুদ্ধে। কেউ আবার হুঁশিয়ারিও দেগেছেন, "অঙ্কুশ কিংবা ঐন্দ্রিলার কেউ যদি রাজনীতিতে যোগ দেন, তাহলে তাঁদেরও আনফলো করে দেবেন।" আবার কারও মন্তব্য, "আপনি শিল্পীর মতোই থাকুন। সাধারণ মানুষকে জ্ঞান দিতে হবে না! মানুষ জানে কাকে ভোটটা দিতে হবে!"