বাঙালি বারবরই ডিটেকভিট গল্পের ভক্ত। তাই নয় নয় করে, ব্যোমকেশ, ফেলুদা, শবর, সোনাদা চরিত্রগুলো বইয়ের পাতা থেকে বেরিয়ে বড়পর্দায় আয়েশ করে বসে রয়েছে। কিন্তু বই প্রিয় বাংলা জাতির গোয়েন্দা চরিত্রে প্রীতি থাকতেই পারে, কিন্তু তাই বলে এক সত্যান্বেষীকে নিয়ে টানাটানি। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যোমকেশ-এর স্বত্ত্ব অনেকের কাছেই রয়েছে।
সে কারণেই বোধহয় ব্যোমকেশ নিয়ে একের পর এক ছবি তৈরি হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কে পর্দায় দর্শক দেখতে পারে নতুন ব্যোমকেশের ভূমিকায়। তাই বলে আবির চট্টোপাধ্যায় ও যিশু সেনগুপ্তকে আপনি বড়পর্দায় দেখতে পাবেন না তা কিন্তু নয়। এই দুইয়ের পরেও তৃতীয় ব্যোমকশ হতে পারেন পরমব্রত।
আরও পড়ুন, সম্পর্কের ‘ঘুন’ নিয়ে পর্দায় সমদর্শী ও অনুশা বিশ্বনাথন
কানে এসেছে, ব্যোমকেশের গল্প 'মগ্ন মৈনাক' নিয়ে ছবি তৈরি করবেন পরমব্রত। পরিচালকের আসনেও তাকেই দেখা যাবে। কিন্তু আপাতত বেজায় ব্যস্ত অভিনেতা। তাই তৈরি দ্বিতীয় প্ল্যানও। কোনও কারণে যদি সময় বের করা কঠিন হয়ে পড়ে তাহলে তৃতীয় ব্যোমকেশ বক্সী পরিচালনা করতে পারেন সায়ন্তন ঘোষাল।
গুপ্তধনের সন্ধানের রহস্য গল্প দিয়ে হাতেখড়ি সায়ন্তনের, একটা নিশ্চয়ই জানেন। কিন্তু পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি বাকি দুই সত্যান্বেষীও কিন্তু দৌড়ে সামিল। অরিন্দম শীল কবে আবিরকে নিয়ো পরবর্তী ব্যোমকেশের কাজ শুরু করবেন তা জানা যায়নি, তবে বেশি বিলম্ব যে করবেন না তা একপ্রকার নিশ্চিত। ইতিমধ্যেই শুরু করেছেন চিত্রনাট্য লেখার কাজ। কিন্তু শরদিন্দুর কোন গল্পে তা নিয়ে কুলুপ এঁটেছেন পরিচালক।
আরও পড়ুন, ‘কণ্ঠ’ মুক্তির এক সপ্তাহ আগে শুরু অগ্রিম বুকিং
এদিকে কৌস্তুভ রায় ইন্দ্রনীল ঘোষকে যিশু সেনগুপ্তকে নিয়ে পরের ব্যোমকেশের কাজ শুরু করবেন। অঞ্জন দত্ত ব্যোমকেশ ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে বেরিয়ে এলেও যিশুকে পর্দায় ব্যোমকেশ হিসাবে দেখা যাবেই। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে সত্যান্বেষীর গল্প নিয়েই ছবি কেন? গল্প কি কম পড়িয়াছে। সিনে মহলর ধারণা গল্পের কমতি নয়, ফর্মুলা বলছে ব্যোমকেশ বক্সঅফিসে অব্যর্থ বাণ। সিলভার স্ক্রিন মাত করবেই। সুতরাং লাভের গুঁড় তো সবাই চায়।