Nikhil Jain Nusrat Jahan Marriage Controversy: বুধবার নিখিল জৈন এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছিলেন নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। বৃহস্পতিবার বিকেলে তার-ই -জবাব দিতে বিস্ফোরক এক বিবৃতি জারি করলেন নিখিল জৈন (Nikhil Jain)। তাঁর মন্তব্য, "একসঙ্গে থাকাকালীন, নুসরতকে বারবার বলতাম আমাদের বিয়ের রেজিস্ট্রেশন করে নিতে। প্রত্যেকবার দেখেছি ও সেটা এড়িয়ে যেত।"
নিখিলের অভিযোগ, ২০২০ সালের আগস্ট মাসে একটা ছবির জন্য শ্যুটিং করতে গিয়েই আমার প্রতি আমার স্ত্রীর আচরণ সম্পূর্ণ বদলে যেতে শুরু করে। কেন? তার সব চেয়ে ভাল উত্তর ওর কাছেই আছে। এপ্রসঙ্গে নিখিল SOS কলকাতা সিনেমার কথাই উল্লেখ করেছেন। কানাঘুষো শোনা যায়, সেই সময় থেকেই সাংসদ-নায়িকার সঙ্গে যশ দাশগুপ্তের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে আরম্ভ করে।
সংশ্লিষ্ট বিবৃতিতে নিখিল এও জানান যে, "আমরা স্বামী-স্ত্রীর মতোই থাকতাম। সমাজ সেই চোখেই আমাদের দেখেছিল। একজন দায়িত্ববান মানুষ এবং স্বামী হিসেবে যা করার আমি তাই করেছি। আমাদের আত্মীয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সকলেই জানে আমি নুসরতের জন্য কী কী করেছি। ও যা করত, তাতেই আমার সমর্থন ছিল। কোনও দিন কোনও ধরনের শর্ত ওর উপর চাপাইনি। কিন্তু খুব কম সময়ের মধ্যেই নুসরত বদলে যায়। আমাদের দাম্পত্যেও খানিক ছেদ পড়ে।"
তাছাড়া, নিখিলের পরিবারের বিরুদ্ধে মূল্যবান গয়না-জিনিসপত্র আটকে রাখার যে অভিযোগ তুলেছিলেন নুসরত। বিবৃতিতে তাঁর জবাব দেন তিনি। নিখিল জানান, ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর ও আমাকে ছেড়ে চলে যায়। সঙ্গে নিয়ে যায় ওর ব্যবহৃত সমস্ত মূল্যবান জিনিসপত্র, কাগজ এবং গুরুত্বপূর্ণ নথি। ও বালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে থাকতে শুরু করে। তার পরে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে আমরা আর কোনও দিন একসঙ্গে থাকিনি। ওর ফেলে যাওয়া যাবতীয় জিনিসপত্র এবং আয়কর সম্পর্কিত নথি সব কিছুই কয়েক দিনের মধ্যে ওর ফ্ল্যাটে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
<আরও পড়ুন: বিতর্ক সামলাতে ব্যস্ত ‘সাংসদ নুসরত’! Yaas বিধ্বস্ত বসিরহাটে গিয়ে ত্রাণ দিচ্ছেন ‘সায়ন্তিকা’>
এরপর তিনি আরও বলেন, "আমার পরিবার নিজের মেয়ে ভেবে নুসরতকে দু'হাত বাড়িয়ে গ্রহণ করেছিল। আমরা কেউই বুঝতে পারিনি এই দিন আমাদের দেখতে হবে। বিয়ের পর দেখেছিলাম, নুসরতের উপর মোটা অঙ্কের গৃহঋণের বোঝা। ওই সমপরিমাণ অর্থ আমি আমার পারিবারিক অ্যাকাউন্ট থেকে ওর অ্যাকাউন্টে দিয়ে দিই। আমার এটাই ধারণা ছিল যে মাসিক কিস্তির মাধ্যমে ও সেই টাকা আমাদের পারিবারিক অ্যাকাউন্টে ফিরিয়ে দেবে। ও যে আমার পারিবারিক অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলেছে, তা আসলে ওর গৃহঋণের টাকাই ফিরিয়ে দিচ্ছিল। যা আমি বিশ্বাস করে ওকে দিয়েছিলাম। ওর তরফ থেকে এখনও অনেক টাকা বকেয়া রয়েছে। ও বিবৃতিতে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে, সেগুলি সম্পূর্ণ মিথ্যে এবং ভিত্তিহীন। আমার কাছে ব্যাঙ্কের সব নথিপত্রই রয়েছে।"
কেন নুসরতের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়ে দেওয়ানি মামলা দায়ের করেছেন নিখিল? তার কারণও স্পষ্ট করে দিয়েছেন। নিখিল জানান, "আমাদের সম্পর্ক, প্রতারণা, সব বিষয়ে একের পর এক খবর দেখে খারাপ লাগা থেকেই থাকতে না পেরে ৮ মার্চ আমি নুসরতের বিরুদ্ধে আলিপুর আদালতে সিভিল স্যুট অর্থাৎ দেওয়ানি মামলা দায়ের করি। আমি কোনওরকম মন্তব্য করতাম না। কিন্তু ওঁর গতকালের বিবৃতি দেখে আমার খারাপ লেগেছে, তাই এই প্রকাশ্যে পাল্টা বিবৃতি জারি করতে বাধ্য হলাম।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন