Nilanjana Sharma-Womens Day: আগামীকাল নারী দিবস। যদিও বা কারওর আলাদা করে এই দিন উদযাপনের দরকার হয় না। কারণ, এই সমাজে প্রতিটা মেয়েই শক্তির উৎস। নিজের ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে, নানা কঠিন অধ্যায় যেভাবে লড়াই করে তারা হাসিমুখে পার করেন, তাতে তাঁদেরকে বাস্তবের দেবী দুর্গা হিসেবেই উল্লেখ করা উচিত।
নীলাঞ্জনা শর্মা ঠিক সেরকমই। তিনিও বাস্তবের, এমন একজন পজেটিভ মানুষ, যার জুড়ি মেলা ভার। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে অনেককিছু দেখেছেন। সহ্য করেছেন অনেক কিছু। কিন্তু না, ভেঙে পড়লে চলবে না। বরং, সবকিছুকে জয় করে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আগামীকাল একটি বিশেষ দিন, আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে যখন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে তাঁকে ফোন করা হল, তখন তিনি সমস্ত গল্পের মাঝে একটাই কথা যেন বারবার জানালেন, একটা দিন নয়। সারা জীবন, সারা বছর নিজেকে যেন সেলিব্রেট করতে পারে।
তিনি বলছিলেন, "আমার মনে হয় সব মানুষেরই এটা করা উচিত, যে নিজের জন্য কোনটা সেরা হবে, সেটা নিয়ে ভাবা। ডু ইওর বেস্ট। এমন কিছু, যেটা তোমায় আনন্দ দেবে। সেটা রোজের স্নান - অফিস হতে পারে, আবার পরের দিন অন্য কিছু হতে পারে। অন্য কেউ যেন তোমার জন্য না ভাবে। মাল্টি টাস্কিং হতে পারে। আর যেদিন কিছু করতে ইচ্ছে করবে না, করো না। চাপ নেওয়ার দরকার নেই।" দুই কন্যা সন্তানের মা, তাঁদেরকে কোন শিক্ষায় মানুষ করছেন? যাতে পরবর্তীতে স্ট্রং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ওমেন হতে পারে তাঁরা?
নীলাঞ্জনার কথায়, "ওরা উদাহরণ দেখে শিখবে। মাকে দেখে শিখবে। আমি যাই বলি না কেন, আমার জীবন আমি কিভাবে লিড করছি, সেটাই উদাহরণ। বাচ্চারা উদাহরণ দেখেই শেখে। আর আমার কাছেও মনে হয়, মেয়েরা মায়ের থেকে একটু বেশীই শেখে।" এই প্রসঙ্গেই উঠে এল তাঁর মায়ের প্রসঙ্গ। অভিনেত্রী অঞ্জনা ভৌমিক, তিনি একসময়ের দাপুটে অভিনেত্রী। সিনেমার সঙ্গে সঙ্গে পরিবার সামলেছেন। তিনি কী কী শিখলেন মায়ের থেকে? অভিনেত্রী বলেন...
"মায়ের থেকে এটাই শিখেছি যে স্বার্থ রেখে কাজ করবে না। কারওর থেকে কিছু আশা করবে না। আমার মা, ভীষণ সেলফলেস ভাবে কাজ করেছে। পেশাগত জীবন সামলে ভাইবোনের বিয়ে দিয়েছেন, সংসার সামলেছেন। কিন্তু, উনি কারওর থেকে কিছু আশা রাখেননি। আমার সবথেকে বড় লার্নিং আজকের সমাজে এটাই। তুমি কাজ করতে চাও, তো নিজের জন্য করো, বাকিদের জন্য করো, কিন্তু আশা করো না। আর কোনোদিন হাল ছেড়ো না।"
এই সমাজে যেখানে মেয়েদের নানা সমস্যা, তাঁদের প্রতিদিন কিছু না কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতেই হয়, এমনকি তাঁদের নিঃশ্বাস ফেলতেও কতটা ভাবনা চিন্তা করতে হয়। সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, "আমি যে-কবার জন্ম নেব, মেয়ে হয়েই জন্ম নিতে চাই। এবং মন থেকে চাই যে কন্যা সন্তানের মা হই। এর থেকে বড় আশীর্বাদ হয় না। আমি ধন্য যে আমি মেয়ে, এবং আমার দুটো মেয়ে।"