অভিষেক এবং ঐশ্বর্যর বিয়ে ভাঙার কথা চারিদিকে। দীর্ঘ এতবছর একসঙ্গে সংসার করার পর অভিনেতা এবং বিশ্বসুন্দরীর বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে যে ধরনের চর্চা হচ্ছে তাতে করে চমকে যেতে হয়। আর এসবের মাঝে নিম্রত কৌর রয়েছেন সমালোচনায়।
এমনকি গতকাল যখন গুরু পূরব উপলক্ষে তিনি গুরুদুয়ারা গেলেন, সেখানেও দেখা গেল পাপারাজ্জিদের উপস্থিতি। এবং তাঁকে শুনতে হল নানা কথা। পরনে সবুজ রঙের পোশাক, তাঁকে দেখা গেল উপস্থিত সকলের জন্য প্রসাদ নিয়ে আসতে। কিন্তু, এখানেই শেষ না। বেশিরভাগের তাঁর সামনে এত ক্যামেরা দেখে দাবি এটাই যে তিনি নাকি, সমস্ত ফেম পেয়েছেন ঐশ্বর্য এবং অভিষেকের জন্যই।
দশভি ছবিতে তাঁরা কাজ করেছিলেন। সেই থেকেই নাকি সম্পর্ক অনেক গভীরে গিয়েছে। যদিও বা তাঁদের কেউই এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। এমনকি অভিষেক বারবার এমনই জানিয়েছিলেন, যে তিনি নাকি নিজেও এমন ঘটনা চাউর হওয়া নিয়ে কিছুই আগামাথা জানেন না। তবে, এবার নিম্রতকে দেখে যে ধরনের মন্তব্য শোনা গেল।
কেউ কেউ তো অভিনেত্রীর এহেন জনপ্রিয়তা মেনে নিয়ে পারলেন না। বরং তিনি যে সম্পূর্ন অভিষেক এবং ঐশ্বর্যর কারণেই এতটা অ্যাটেনশন পাচ্ছেন সেকথা অনেকের মুখেই শোনা গেল। আবার কেউ কেউ তাঁকে এভাবে বিধলেন, যে কারওর সংসার ভেঙে তাঁর আবার ঈশ্বরের কাছ থেকে কিছু চাওয়া কিংবা প্রসাদ পাওয়ার অধিকার নেই।
অভিনেত্রীকে গুরুদ্বারের সামনে দেখেই কেউ বললেন, ঐশ্বর্যের বরকে খেয়ে গেল, এখন আবার প্রসাদ চাইছে। আবার কেউ বললেন, এত কীসের বাড়াবাড়ি? আবার কারওর কথায়, হ্যাঁ হ্যাঁ, জয়া বচ্চনকে ইমপ্রেস করতে হবে তো। কেউ বলে বসলেন, নাটকের কত কি দেখব। আবার কেউ বলে বসলেন, একটা লোক এক দেখতো না, আর এখন সবাই অভিষেক আর ঐশ্বর্যর জন্য একে দেখছে।
প্রসঙ্গে, অভিষেক এবং ঐশ্বর্যর মধ্যে সম্পর্কের রূপ যে বদলেছে সেকথা আরও বেশি বাড়তে শুরু করে আম্বানি পরিবারের অনুষ্ঠানে তাঁদের আলাদা আলাদা উপস্থিতির পর। মেয়েকে নিয়ে আলাদা এসেছিলেন তিনি। অন্যদিকে গোটা বচ্চন পরিবার একসঙ্গে উপস্থিত হয়েছিলেন সেখানে। তারপর থেকেই আলোচনা আরও জোরালো।
এরমাঝেই দেখা গিয়েছিল, অমিতাভ নিম্রতকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। সেই চিঠি নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠেছিল। যদিও, অভিষেক এই নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে বরং তাঁর নতুন রিলিজ নিজেই তিনি বেশি ভাবছেন। সুজিত সরকারের সঙ্গে তাঁকে প্রথমবার কাজ করতে দেখা যাবে।