Singer Noble Man Bangladesh: এহেন ঘটনাও ঘটে! বাংলাদেশের বিনোদনমহলে যে সাংঘাতিক কান্ড ঘটছে, তাতে চমকে যেতে হয়। কিছুদিন আগেই, গ্রেফতার করা হয়েছিল বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় গায়ক মইনুর আসলাম নোবেলকে। নোবেল জনপ্রিয়তা পান ভারতে এসে। এখানে সারেগামাপা থেকেই তাঁর পরিচিতি হয়। কিছুদিন আগেই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। করেন, এক তরুণী। অভিযোগ ছিল ৭ মাস ধরে তাঁকে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন নোবেল। নোবেলের নয় নয় করে অনেকগুলিই বিয়ে হয়েছে। আর এবার, আরও একবার বিয়ের সুযোগ হয়ে গেল তাঁর।
নোবেলকে নিয়ে নানা আলোচনা লেগেই থাকে। তাঁকে গ্রেফতার করার সঙ্গে সঙ্গে উঠে আসছিল নানা তথ্য। এমনও জানা যাচ্ছিল, অভিনেতা নাকি সেই মেয়েটিকে ধর্ষনের সঙ্গে তাঁর ভিডিও পর্যন্ত করেন। নানা অভিযোগে ছারখার নোবেল কারাগারে বন্দী হন। কিন্তু, সেই সময় থেকেই শোনা যায় সেই মেয়েটির সঙ্গে নাকি, নোবেলের ভালবাসার সম্পর্ক ছিল। গায়ক তাঁকে তুলে এনেছিলেন, এই গল্প মিথ্যে। বরং, তিনি নাকি স্বেচ্ছায় থাকতেন তাঁর সঙ্গে। গতকাল কেন্দ্রীয় কারাগারের তরফে নির্দেশ মিলেছিল সেই অভিযুক্তকে বিয়ে করার, আর কথা মতই তাই হল। এই গায়কের কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে বিবাহ সম্পন্ন হয়।
দুজনের পক্ষ থেকেই হাজির ছিলেন, চারজন সাক্ষী। ধর্ষণ মামলার বাদী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সূত্রের খবর, আসামি নোবেলের পক্ষ থেকে আদালতে লিখিত পর্যায়ে বিয়ে করার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়। বাদী ও আসামি উভয় পক্ষের সম্মতিতেই বিয়ে সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কারা কর্তৃপক্ষকে আদালত যে নির্দেশ দিয়েছিল, তাতেই তাঁদের বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। কারা ফটকে অনুষ্ঠিত গায়ক নোবেল ও সেই নারীর বিয়েতে স্বাক্ষী হিসেবে দুজনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন যারা, তাঁরা হলেন নাজমা হোসেন, সাবিহা তারিন, খলিলুর রহমান ও সাদেক উল্লাহ ভুইয়া।
নোবেলের আইনজীবী প্রথম থেকেই দাবি করেছিলেন, যে নারী তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন, তিনি আসলে নোবেলের স্ত্রী। আর নোবেল ধর্ষণ করেননি। যদিও, তাঁকে স্ত্রী বলে দাবি করা নোবেল তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে হলেও বিয়ের কাবিননামা জমা দিতে পারেননি। তাহলে, আসল সম্পর্ক কী তাঁদের মধ্যে, এই নিয়েও রয়েছে সমালোচনা। আদালত মারফত খবর, ৭বছর আগে এই মহিলার সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় নোবেলের। নভেম্বর মাসে ডেমরায় নোবেল তাঁকে স্টুডিও দেখানোর নাম করে ওই নারীকে বাড়িতে ডেকে পাঠান। রাত আটটার দিকে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে চাইলেও তাঁর মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে অসভ্যতা শুরু করেন গায়ক। এরপর সেই মেয়েটিকে নাকি তিনি ধর্ষণ করেন এবং সেই ভিডিও মোবাইলে ক্যাপচার পর্যন্ত করেন। এরপরই, ভয় দেখিয়ে সাত মাস ধরে ওই বাসায় তাঁকে আটকে রেখে নিয়মিত শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার করা হয়।