লোকসভার ওয়েবসাইটে লেখা তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান বিবাহিত। সেখানেই স্বামীর নামের জায়গায় জ্বলজ্বল করছে নিখিল জৈনের নাম। কিন্তু এদিকে সাংসদ-নায়িকার দাবি, "নিখিল জৈনের সঙ্গে তাঁর আইনত কোনও বৈবাহিক সম্পর্কই নেই।" বুধবারের এক বিবৃতি জারি করে নুসরত জাহান তাঁদের তুরস্কের বৈবাহিক অনুষ্ঠানের প্রসঙ্গ টেনে এনে জানান যে, "তুরস্কের বিবাহ আইন অনুযায়ী বিয়েটা অবৈধ। কারণ, হিন্দু-মুসলিম বিবাহের ক্ষেত্রে বিশেষ বৈবাহিক আইন অনুসারে রেজিস্ট্রেশনও হয়নি আমাদের।" কিন্তু এদিকে লোকসভার ওয়েবাসাইটের নথি তথ্য বলছে অন্য কিছু। সাংসদের মুখের কথার সঙ্গে কোনও মিল-ই নেই তার!
অতঃপর, প্রশ্ন উঠছে যে, নুসরত জাহান যদি আইনত বিবাহিত না-ই হয়ে থাকেন, তাহলে লোকসভার ওয়েবসাইটে কেন বিবাহিত লেখা? উপরন্তু রাজনৈতিক মহলের অন্দরে এও প্রশ্ন তোলা হয়েছে যে, তুরস্ক থেকে বিয়ে করে ফিরে এসে নায়িকা যখন পার্লামেন্টে শপথ নিলেন, তখন তাঁকে হিন্দু রীতি অনুযায়ী নবপরিণীতা হিসেবে শাঁখা-পলা, সিঁদুর পরে দেখা গিয়েছে, এবং শপথবাক্য পাঠের সময় তিনি নিজের পুরো নাম 'নুসরত জাহান রুহি জৈন' বলে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি যদি বিবাহিত না হয়ে থাকেন, তাহলে কি লোকসভার ওয়েবসাইটে ভুল লেখা? প্রশ্ন তুলে জোর শোরগোল শুরু হয়েছে রাজনৈতিকমহলের অন্দরে।
<আরও পড়ুন: “সহবাস করেছি, আইনত নিখিলের সঙ্গে বিয়েই হয়নি কোনওদিন!”, ‘বিস্ফোরক’ Nusrat Jahan>
প্রসঙ্গত, বুধবার নুসরত বিবৃতিতে জানিয়েছেন, "নিখিলের সঙ্গে সহবাস করেছি। আইনতকোনওদিন বিয়েই হয়নি আমাদের। তাই বিচ্ছেদের প্রশ্নও ওঠে না।" স্বাভাবিকবশতই সাংসদের এমন বিস্ফোরক মন্তব্যের পর হইচই শুরু হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, লোকসভার ওয়েবসাইটে পশ্চিমবঙ্গ থেকে জয়ী তৃণমূল সাংসদদের যে তালিকা, তাতে নুসরতের নামের উপর ক্লিক করলেই স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যাবতীয় তথ্য। সেখানে উল্লেখ, নুসরত বিবাহিত। তিনি বিয়ে করেছেন ২০১৯ সালের ১৯ জুন। স্বামীর নাম- নিখিল জৈন। নিয়মানুযায়ী সংসদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই ওয়েবসাইটে পরিচয়পত্র দেওয়া হয়। তবে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে নির্বাচনে যে হলফনামা দিয়েছিলেন অভিনেত্রী নুসরত, তাতে অবিবাহিত-ই দাবি করেছিলেন নিজেকে। কারণ, তাঁর বিয়ের যে তারিখ লোকসভার ওয়েবসাইটে রয়েছে তা নির্বাচনের পরের। কিন্তু তাহলে ওয়েবসাইটে 'বিবাহিত' লেখা কেন? স্বাভাবিকবশতই এই প্রশ্ন তো উঠছেই। তবে এই প্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত কোনওরকম মন্তব্য করতে দেখা যায়নি বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন