সন্তানসম্ভবা নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। মাস দুয়েক আগে সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই সাংসদ-অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কম কাদা ছোঁড়াছুড়ি হয়নি। এবার তাঁকেই বলতে শোনা গেল, "মেয়ে হলে শেখাব, কখনও যেন মাথা নত না করে।" আসলে একটি গর্ভনিরোধক ওষুধপ্রস্তুতকারী সংস্থার প্রচারের জন্য পরিচালক এবং প্রযোজক সুদেষ্ণা রায়ের (Sudeshna Roy) সঙ্গে মাতৃত্ব ও নারীদের ক্ষমতায়ন নিয়ে দীর্ঘ আলোচনায় বসেছিলেন নুসরত। ফেসবুক লাইভে সেই আলোচনা প্রসঙ্গেই এমন মন্তব্য করলেন তিনি।
Advertisment
পাশাপাশি সাংসদ-অভিনেত্রী নারীদের উদ্দেশে এও বলেন যে, "নিজের লড়াই নিজেকেই লড়তে হবে। কেউ কারও হয়ে গলা তুলবে না। এখন যদি লোককে দেখানোর জন্য ছলনার আশ্রয় নিয়ে মিথ্যে জীবনযাপন করি, স্বামী অত্যাচার করলেও সমাজের ভয়ে চুপ থাকি, লোকের সামনে স্বামীর ভাবমূর্তি রক্ষা করার জন্য আওয়াজ না তুলি, তবে নিজের জীবনটা কোথাও যেন হারিয়ে যাবে। নিজের ক্ষতগুলোকে লুকিয়ে রাখতে রাখতে মহিলাদের নিজস্বতাটাই হারিয়ে যাবে।" অতঃপর নারীদের উদ্দেশে নুসরতের পরামর্শ, মনের আনন্দে বাঁচুন সবাই।
উল্লেখ্য, নুসরত জাহান কিন্তু এই আলোচনার মাঝেই বুঝিয়ে দিলেন যে, কোনও মহিলা যদি বিপদে থাকেন কিংবা অত্যাচারিত হয়ে থাকেন, তাঁরা যেন প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। এবং তিনি নিজেও তাঁদের পাশে থাকবেন। শুধু একটু মুখ ফুটে বলতে হবে।
নারীজন্মের অর্থই যে শুধু মা হওয়া নয়, সেই কথাই শোনা গেল সুদেষ্ণা রায় এবং নুসরত জাহানের মুখে। গর্ভবতী সাংসদ-অভিনেত্রী এও বললেন যে, "মাতৃত্ব আশীর্বাদ, তা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। কিন্তু নিজের শরীর ও মন প্রস্তুত না হলে মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়।" পিতৃতান্ত্রিক সমাজ নিয়েও কথা বললেন সুদেষ্ণা-নুসরত। সাংসদ-অভিনেত্রীর কথায়, "পুরুষরা মহিলাদের সম্মান করবেন কিনা, তার প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের লোকদের থেকেই আসা উচিত। বাড়িতে মা-বাবারা যদি তাঁদের ছেলেকে এই শিক্ষা দেন, তাহলে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি অনেকটাই শুধরে যাবে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন