/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/01/cats-82.jpg)
রজনীকান্তের পোস্টারে দুধ ঢালছেন ফ্যানেরা। ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
জানেন রজনীকান্ত, অজিত, বিজয়দের ফ্যানেরা দুধ চুরি করেন? হ্যাঁ, এমন গুরুতর অভিযোগই করেছেন তামিলনাড়ুর দুধ ব্যবসায়ীরা। তামিল সুপারস্টারদের ছবিতে দুধ ঢালার রীতির(পাল অভিষেকম) বিরোধিতা করে সরব হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ছবি মুক্তির আগে রজনীকান্তদের কাট-আউটে দুধ ঢালেন ফ্যানেরা। বছরের পর বছর ধরে চলে আসা সেই রীতি বন্ধের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন দক্ষিণের সে রাজ্যের দুধ বিক্রেতারা। এই রীতি পালনের জন্য সুপারস্টারের ফ্যানেরা নাকি দেদার দুধের প্যাকেট চুরি করছেন, এমন অভিযোগ করেই এবার পুলিশের দ্বারস্থ হলেন ব্যবসায়ীরা।
দুধ চুরি ঠেকাতে বহু পদক্ষেপ করেও সুরাহা হয়নি বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। তাই শেষমেশ পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে তামিলনাড়ু মিল্ক ডিলার্স এমপ্লয়িজ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। মূলত তিনটি দাবিই প্রশাসনের কাছে রেখেছেন তাঁরা। দক্ষিণী নায়কদের ছবি বা ব্যানারে দুধ ঢালার রীতি বন্ধ করার দাবি তুলেছেন তাঁরা। পাশাপাশি এই রীতি পালন করতে গিয়ে বহু দুধ নষ্ট হচ্ছে, ফলে দুধ অপচয় ঠেকানোর আর্জি রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। একইসঙ্গে সুপারস্টারদের ছবি মুক্তির সময় দুধের দোকানগুলিতে চুরি ঠেকাতে নিরাপত্তার দাবি তোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন, পাণ্ডিয়া-রাহুল বিতর্কের ‘দায়’ নিলেন করণ জোহর
এ প্রসঙ্গে ওই সংস্থার সভাপতি এস এ পন্নুসামি বলেছেন, ২০১৫ সাল থেকে সুপারস্টারদের কাট আউটে দুধ ঢালার রীতি বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। এজন্য তাঁরা নায়কদেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘‘দুধের প্যাকেট দেদার চুরি হচ্ছে। আমরা এ বিষয়ে প্রথম সারির সব অভিনেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। রজনীকান্ত, অজিত, বিজয়দের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেছি। এই রীতি বন্ধ করতে ওঁদের সাহায্যের জন্য দরবারও করেছি। কিন্তু কেউই এ সমস্যার সমাধানের জন্য কিছুই করেননি।’’
তবে কমল হাসান ও শিবাকার্তিকেয়ান এ সমস্যার প্রতিকারে এগিয়ে এসেছেন। ওই সংস্থার সভাপতি বলেছেন, ‘‘কমল হাসান আমাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। ওঁর ছবি মুক্তির সময় রক্তদান শিবির করা হয়। শিবাকার্তিকেয়ানের ফ্যানেরাও সচেতনতামূলক কাজ করেন ওঁদের নায়কের ছবি মুক্তির সময়। হেলমেট পরা নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার চালান ওঁরা। পাশাপাশি ছবি মুক্তির দিন চারাগাছ বিতরণ করেন। কিন্তু রজনীকান্ত, অজিত, বিজয়দের ফ্যানেদের ঠেকানো যাচ্ছে না।’’
পন্নুসামির অভিযোগ, ‘‘মাঝরাতে লরিতে করে দুধের প্যাকেট আনা হয়। ভোরে তা সব দোকানে সরবরাহ করা হয়। দোকানের বাইরেই দুধের প্যাকেটের বাক্সগুলো রাখা হয়। সেসময়ই সুপারস্টারদের ফ্যানেরা দুধ চুরি করেন।’’ এ প্রসঙ্গে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পন্নুসামি। তাঁর কথায়, ‘‘এ ঘটনার তদন্তের কথা বললে বা অভিযোগ দায়ের করতে গেলে পুলিশ বলত যে, ওঁরা তখনই কিছু করতে পারেন, যদি চুরি দোকানের মধ্যে হয়। যেহেতু দোকানের বাইরে থেকে চুরি যায় দুধের প্যাকেট, তাই এ ব্যাপারে ওঁরা কিছু করতে পারেন না।’’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ছবি মুক্তির আগে নিজের কাটআউটে দুধ ঢালার জন্য ফ্যানদের আহ্বান করেন তামিল অভিনেতা সিম্বু। যে ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসেন দুধ ব্যবসায়ীরা।
Read the full story in English