পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত শিল্পী রাশিদ খানকে পুলিশি হেনস্থার অভিযোগ। সস্ত্রীক রাশিদকে হেনস্থা, তাঁর মেয়েকে কুরুচিকর মন্তব্যের ঘটনায় বিভাগীয় তদন্ত শুরু করল কলকাতা পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলায় রাশিদ খানের নাকতলার বাড়িতে পৌঁছয় লালবাজারের টিম। রাশিদের স্ত্রী জয়িতা বসু খানের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ। এমনকী কলকাতা পুলিশের কমিশনার রাশিদকে ফোন করেন বলে দাবি তাঁর পরিবারের।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণিত হলে কঠোর পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন কমিশনার বিনীত গোয়েল। পুলিশের তরফ থেকে সবরকম সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে রাশিদ খানের পরিবারকে। উল্লেখ্য, ঘুষ দিতে অস্বীকার করায় পুলিশ আটক করে রাশিদের গাড়ির চালককে। রীতিমতো হেনস্থা করা হয় তাঁকে। এমনটাই অভিযোগ করে রাশিদের পরিবার।
এর পর থানায় ডাকা হয় শিল্পী এবং তাঁর স্ত্রীকে। সেখানে একপ্রকার হেনস্থার শিকার হন তাঁরা, অভিযোগ রাশিদের পরিবারের। রাশিদ খানের স্ত্রী ক্ষোভপ্রকাশ করে জানান. কী কারণে তাঁদের গাড়ির চালককে হেনস্থা করা হয়েছে তার সঠিক উত্তর না পেলে আদালতের দ্বারস্থ হবেন তাঁরা। থানায় রাশিদের মেয়েকেও কুরুচিকর ভাষায় পুলিশ আধিকারিক আক্রমণ করেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন ‘ঘুষ’ না দিতেই গাড়ির চালককে আটক, তড়িঘড়ি থানায় ছুটলেন উস্তাদ রশিদ খান
বিষয়টি জানানো হয় রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনকে। তিনি এর পর কথা বলেন লালবাজারের উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে। রাশিদ খান থানা থেকে চালককে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। পদ্মভূষণ প্রাপ্ত শিল্পীকে এই ভাবে পুলিশি হেনস্থার প্রতিবাদে সমালোচনার ঝড় হয়ে যায় রাজ্যের সবমহলে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও পুলিশকে তুলোধনা করেন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামলেন লালবাজারের কর্তারা। রাশিদ খানকে ফোন করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন কমিশনার বিনীত গোয়েল। এবার দেখার কী পদক্ষেপ করে কলকাতা পুলিশ। তবে এই বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে পুলিশ-প্রশাসন, তা বলাই বাহুল্য।