/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/26/divya-bharti-1-2025-08-26-12-44-28.jpg)
যা করেছিলেন তিনি পরিচালকের সঙ্গে...
একেবারেই অল্প বয়সে চলে গিয়েছেন দিব্যা। তাঁর মৃত্যুর রহস্য আজও রহস্য রয়ে গিয়েছে। এবং খেয়াল করলে দেখা যাবে এমন অনেক গল্প জানা যায় দিব্যা বেঁচে থাকলে নাকি অনেক নায়িকাই জায়গা পেতেন না এই ইন্ডাস্ট্রির বুকে। তাঁর রূপ তো বটেই, বরং তাঁর নাচ এবং অভিনয় দক্ষতাও মন কেড়েছিল অনেকের। বর্তমানে, পহলাজ নিহালনি শোলা অউর শবনম ছবির শুটিংয়ের সময় দিব্যা ভারতীর কাজের প্রতি অদম্য নিষ্ঠার একটি চমকপ্রদ স্মৃতি শেয়ার করেছিলেন।
১৯৯৩ সালের ৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। পঞ্চম তলার অ্যাপার্টমেন্টের জানালা থেকে পড়ে যান জনপ্রিয় অভিনেত্রী দিব্যা ভারতী। সে সময় তিনি চলচ্চিত্র নির্মাতা সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলেও চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যু পরে দুর্ঘটনা হিসেবেই রায় পায়।
হাসপাতালের সেই মুহূর্তের কথা স্মরণ করে প্রযোজক পহলাজ নিহালনি পিঙ্কভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “তিনি তখন একেবারে একা ছিলেন। কী ঘটেছিল, কেউ জানত না। তাঁর পরিবার তখনও পৌঁছায়নি। বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গেই আমি হাসপাতালে ছুটে যাই।”
Avneet Kaur: বিরাটের জন্যই বহুল জনপ্রিয়তা! অবশেষে মুখ খুললেন 'ভাইরাল…
তিনি জানান, একদিন গভীর রাতে শুটিং চলাকালীন দুর্ভাগ্যবশত দিব্যার পায়ে একটি পেরেক ঢুকে যায়। যন্ত্রণায় কাতর হয়ে পড়লেও তিনি কাজের ব্যাঘাত ঘটাতে চাননি। পরের দিনের শুটিং বাতিল করে সবাই তাকে বিশ্রাম নিতে বললেও দিব্যা একেবারেই রাজি হননি।
নিহালনি বলেন, “রাত তখন প্রায় তিনটা। আমরা শুটিং বন্ধ করে দিয়েছিলাম এবং তাকে বিশ্রাম নিতে বলেছিলাম। কিন্তু ভোর ছ’টার মধ্যেই দিব্যা সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে গানের শুটিং করার জন্য হাজির হয়।” শুটিং বাতিল হওয়ায় তিনি নিহালনির ঘরে নিজেই গিয়ে হাজির হন। আরও অবাক করার মতো ঘটনা হলো, তিনি হাউসকিপিং দিয়ে দরজা খুলিয়ে সোজা নিহালনি ও তার স্ত্রীর ঘরে ঢুকে পড়েন।
নিহালনি হাসতে হাসতে বলেন, “আমি আর আমার স্ত্রী তখনও ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ দেখি দিব্যা আমার বুকের ওপর বসে আমাকে জাগাচ্ছে। সে বলল, ‘ওঠো, শুট করতে হবে।’ তার এই জেদ, পরিশ্রম আর পেশাদারিত্ব আমাকে বিস্মিত করেছিল।”